‘অবমাননাকর’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

HRW-1.jpg

নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, সরকার ও রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনাকারী অ্যাক্টিভিস্ট, সাংবাদিক এবং অন্যান্যদের হয়রানি ও অনির্দিষ্টকাল ধরে আটকে রাখতে অবমাননাকর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।

তারা আরও জানিয়েছে, বাকস্বাধীনতা রক্ষায় আইনটি সংশোধন বা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

আজ বুধবার এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আইনের শাসনকে অবজ্ঞা করছে। সমালোচনাকারী হিসেবে যাকে মনে করছে, তাকেই নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে।’

‘কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে যখন কারাগারে বন্দির সংখ্যা সরকারের কমিয়ে আনা উচিত, এমন সময় তারা উল্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সামান্য মন্তব্যের জন্য লোকজনকে আটক করে রেখেছে’, বলেন তিনি।

এইচআরডব্লিউ বলছে, গত ২৮ জুন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন আবেদন আবারও খারিজ করে তাকে দুই দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলার একটির জন্য তথ্য পেতে তাকে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করতে পারে কর্তৃপক্ষ। রিমান্ডে তদন্তের অংশ হিসেবে আটককৃতদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়, যেখানে তাদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট প্রদত্ত নির্দেশনা রয়েছে, যাতে বলা হয়েছে- কারাগারের ভেতর কাঁচের দেয়ালবিশিষ্ট কক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করতে হবে, যাতে আইনজীবী ও আত্মীয়স্বজন তা পর্যবেক্ষণ করতে পারে। কিন্তু এ নির্দেশনা মানার কোনো প্রমাণ নেই।

এ ছাড়াও, বাংলাদেশে সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ, অ্যাক্টিভিস্ট দিদারুল ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী মিনহাজ মান্নান ইমন, ১৫ বছরের এক যুবক, প্রকাশক নূর মোহাম্মদ ও বাউল শিল্পী শরিয়ত সরকারকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

17h ago