রেফারির সিদ্ধান্তেই কি কপাল পুড়ছে বার্সেলোনার?

ভিডিও চিত্রে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে অ্যাতলেতিকোর ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় তখন ডি-বক্সে। যা হওয়া উচিৎ ছিল না।
সাউল শট নেওয়ার আগেই ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন কোরেয়া

দৃশ্য ১

ম্যাচের বয়স তখন ১৫ মিনিট ছাড়িয়েছে মাত্র। ১-০ গোলে এগিয়ে বার্সেলোনা। এ সময়ে ডি-বক্সে আর্তুরু ভিদালের একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে পেনাল্টি পায় অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। সাউল নিগুয়েজের লক্ষ্যভেদে সমতায় ফেরে দলটি। কিন্তু এর আগে এ নিয়ে নানা বিতর্ক। কারণ প্রথমে শট নিয়েছিলেন দিয়াগো কস্তা। আর তার শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রেস টের স্টেগেন। কিন্তু পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি সেই পেনাল্টি আবার নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। কারণ সাউল শট নেওয়ার আগেই গোললাইন ছেড়ে বের হয়েছেন টের স্টেগেন।

দৃশ্য ২

ম্যাচের বয়স তখন ৬১ মিনিট। এবারও বার্সেলোনা এগিয়ে ২-১ গোলের ব্যবধানে। এ সময়ে ফের পেনাল্টি পায় অ্যাতলেতিকো। সেই জানিক কারাস্কোকে এবার ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করেন নেলসন সেমেদো। যা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। বাঁশি বাজানোর পর দ্বিতীয়বার দেখার প্রয়োজন মনে করেননি রেফারি। ভিএআর কক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি। তবে মূল বিতর্ক এটা নয়। সাউল যখন শট নিচ্ছিলেন, তার আগেই ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন আনহেল কোরেয়া। কিন্তু এবার আর পেনাল্টি কিকটি আবার নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি রেফারি। ভিএআর কক্ষ থেকেই কোনো কিছু জানানোর প্রয়োজন হয়নি।

আর এ দুটি দৃশ্যের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ও তার সমর্থকরা। প্রথমবার যদি ভিএআর টের স্টেগেনের অবস্থান যাচাই করতে পারেন তাহলে দ্বিতীয়বার কেন কোরেয়ার অবস্থা যাচাই করতে পারলেন না ভিএআরের দায়িত্বে থাকা রেফারি? -এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবল পাড়ায়। ভিডিও চিত্রে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে অ্যাতলেতিকোর ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় তখন ডি-বক্সে। যা হওয়া উচিৎ ছিল না।

এদিন মাঠের রেফারি ছিলেন আলেহান্দ্রো হের্নান্দেজ। আর ভিএআর কক্ষের দায়িত্বে ছিলেন মাতেউ লাহোজ। বার্সেলোনার বিপক্ষে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এ জুতির নতুন কিছু নয়। এর আগেও রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে একটু গোলকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল।

আর চলতি মৌসুমে রেফারিং নিয়ে বিতর্কও নতুন কিছু নয়। শুরু থেকেই রেফারিংয়ের সমালোচনা করে আসছেন কাতালানরা। প্রায় সব ম্যাচেই সিদ্ধান্ত যাচ্ছে তাদের বিপক্ষে। অন্যদিকে রেফারিংয়ে দারুণ সুবিধা পাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভিএআরের কল্যাণে জয় পায় দলটি। তাতে ক্ষোভটা আরও বেড়েছে কাতালানদের। চলতি মৌসুমে লিগ শিরোপা হাতছাড়া করা এখন তাদের জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তিন মাসের বেশি সময় লিগ স্থগিত থাকার আগে রিয়ালের চেয়ে ২ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু নতুন শুরুতে পাল্টে যায় চিত্র। এক ম্যাচ কম খেলেও এগিয়ে আছে রিয়ালই। শেষ চার ম্যাচের তিনটিতে ড্র করেছে কাতালানরা।

Comments

The Daily Star  | English

Police see dead man running

Amin Uddin Mollah is dead and buried for two years and 10 months.

8h ago