নতুন নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ে গ্রেপ্তার ৯, বিক্ষোভে আটক ৩০০
হংকংয়ে চীনের জারি করা নতুন নিরাপত্তা আইনে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অন্তত ৩০০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অবৈধ সমাবেশ ও অন্যান্য অপরাধের জন্য তাদের আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, ১৯৯৭ সালে আজকের দিনে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে চীন শাসনে অন্তর্ভুক্ত হয় হংকং। ১ জুলাই হস্তান্তরের ২৩তম বার্ষিকীতে নতুন আইনের প্রতিবাদে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী শহরতলীতে জড়ো হতে শুরু করে। এসময় আন্দোলনকারীরা ‘হংকংয়ের স্বাধীনতার জন্য শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ করে যাওয়ার’ স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পিপার স্প্রে ও রবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ।
৩৫ বছর বয়সী এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘জেলে যাওয়ার ভয় আমার আছে। কিন্তু, ন্যায়বিচারের জন্য আমাকে বেরিয়ে আসতেই হবে, আমাকে উঠে দাঁড়াতে হবে।’
মঙ্গলবার, চীনের পার্লামেন্টে হংকং বিষয়ক জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিলটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়।
নতুন আইনের অধীনে সাজার আশঙ্কায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট ও অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে শুরু করেছেন হংকংয়ের রাজনৈতিক কর্মীরা।
নতুন আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো কার্যক্রম, কেন্দ্রীয় সরকারের অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
জেএম পরিচয়ে এক বিক্ষোভকারী সিএনএনকে জানান, তিনি এখন থেকে অনলাইনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করার ব্যাপারে ভাবছেন। হংকং ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে এখন আরও সতর্ক হতে হবে। যদিও আমি (হংকং) ছাড়তে চাই না। তবে, আমাকে এখন এটা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে।’
নতুন হংকং জাতীয় নিরাপত্তা বিলে দেশদ্রোহিতা, বিচ্ছিন্নতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অধীনে হংকংয়ের আইনপ্রণেতা ছাড়াই সেসব অপরাধে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার সুযোগ পাবে চীনা কর্তৃপক্ষ। সমালোচকরা বলছেন, নতুন আইনের ফলে অঞ্চলটির বিচার বিভাগ স্বকীয়তা হারাবে।
Comments