ভাঙনের হুমকিতে গ্রামবাসীর নির্মিত তিস্তাপাড়ের বালুর বাঁধ

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে স্থানীয়দের উদ্যোগে তিস্তার পাড়ে নির্মিত বালুর বাঁধটি ভাঙনের হুমকিতে আছে। এই আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা বাঁশ-গাছ ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন। তবে এভাবে বালুর বাঁধটি রক্ষা পেতে নাও পারে বলে তারা জানিয়েছেন। এতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও পিচিং করা না হলে বাঁধটি তিস্তার গ্রাস থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।
ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে স্থানীয়দের উদ্যোগে তিস্তার পাড়ে নির্মিত বালুর বাঁধটি ভাঙনের হুমকিতে আছে। এই আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা বাঁশ-গাছ ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন। তবে এভাবে বালুর বাঁধটি রক্ষা পেতে নাও পারে বলে তারা জানিয়েছেন। এতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও পিচিং করা না হলে বাঁধটি তিস্তার গ্রাস থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।

আদিতমারী মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা নদীরপাড় গোবর্ধান এলাকায় স্থানীয়রা চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রমে ৪০০ ফিট এই বালুর বাঁধটি নির্মাণ করেন। এর দ্বারা তারা বন্যার কবল রক্ষা পেলেও বাঁধটিই এখন বিলীন হওয়ার হুমকিতে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, গত মে মাসে গ্রামের লোকজন এ বাঁধটি নির্মাণ করেন। গ্রামের দুই ভিক্ষুক বাঁধ নির্মাণে চাঁদা দিয়ে আলোচনায় আসেন। অনেক কষ্টে বাঁধটি নির্মাণ করেন তারা। এটি নির্মাণে সরকারি কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। সমাজের বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসেননি।

স্থানীয় কৃষক সেকেন্দার আলী (৬৫) জানান, বালুর বাঁধটি নির্মাণের কারণে এ বন্যায় তাদের বাড়ি-ঘরে ও ফসলের জমিতে তিস্তার পানি উঠেনি। বাঁধটি রক্ষা কবচ হিসেবে তাদের রক্ষা করছে। কিন্তু বাঁধটি নিজেই এখন তিস্তার গ্রাসে হুমকিতে পড়েছে এবং যে কোনো সময় এটি ভেঙে যেতে পারে।

অপর কৃষক তাহের আলী জানান, এখানে একটি বাঁধ না থাকায় গত তিন-চার বছর গ্রামের ৫০০ পরিবারকে বন্যায় ভাসতে হয়েছিল। নষ্ট হয়েছিল তাদের দেড় হাজারের বেশি বিঘা জমির ফসল। সরকারের কাছে অনেক আবেদন করেও কোনো ফল না পাওয়ায় এলাকাবাসী চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বালুর বাঁধটি নির্মাণ করেন। এই বালুর বাঁধটি যদি ভেঙে যায় তাহলে আবারও বন্যা দুর্গত হয়ে বাঁচতে হবে আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফসলের খেত।

স্থানীয় বাসিন্দা সেফাউল ইসলাম বলেন, জিও ব্যাগ কিনে তাতে বালু ভরে ডাম্পিং ও পিচিং করতে যে পরিমাণ খরচ হবে তা স্থানীয় মানুষের পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। সরকারিভাবে সহায়তা পাওয়া না গেলে এ বালুর বাঁধ টিকানো যাবে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সরকারি দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। ডিসি গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বাঁশ-গাছ ফেলে আপাতত বালুর বাঁধটি তিস্তার গ্রাস থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

In order to improve law and order, the government last night gave the power of magistracy to commissioned army officers for 60 days.

29m ago