তিনি ছিলেন এবং গড়েছেন নিঃশব্দে
একজন উদ্যোক্তা কীভাবে অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে উঠেন? এই প্রশ্নের উত্তরের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। আর আজকের এই ব্যবসায়িক দুনিয়ায় এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে জন ভেদে ভিন্ন।
নিয়োগকর্তার সবচেয়ে ভালো গুণ কী বা কেমন নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করতে চান? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর দিতে পারবেন একজন চাকরিজীবী বা চাকরিপ্রার্থী। তাদের কাছে উত্তরে যে গুণগুলোর কথা শুনতে পাবেন, সেগুলো সম্ভবত এই— একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করবে, দক্ষতার মূল্যায়ন করবে, সততার সম্মান দেবে এবং নিয়মিতভাবে কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে।
তেমনই একজন মানুষ ছিলেন লতিফুর রহমান। যিনি তার ব্যবসা যেদিকেই সম্প্রসারণ করেছেন সেদিকেই নিশ্চিত করেছেন যে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং তাদের পরিবার সুখে আছে।
দ্য ডেইলি স্টারের দুই জন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছিলেন কেন ট্রান্সকম গ্রুপের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।
যে দেশে চাকরি ও বেতনের নিশ্চয়তা চাকরিপ্রার্থী এবং চাকরিধারীদের কাছে বড় উদ্বেগের বিষয়, সেখানে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কারণে বিশেষ ধন্যবাদ ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের প্রাপ্য। নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভালো রাখার চেষ্টাকেই তিনি সবচেয়ে বড় সামাজিক দায়বদ্ধতা বলে মনে করতেন।
এই আলোকবর্তিকা গতকাল বুধবার ৭৫ বছর বয়সে চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। কাকতালীয়ভাবে চার বছর আগে একই দিনে তার নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেনকে নির্মমভাবে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছিল।
এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস উদ্ দৌলা বলেন, ‘এই ক্ষতি সত্যিই অপূরণীয়।’
আনিস উদ্ দৌলা ও লতিফুর রহমান একসঙ্গে কাজ করেছেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই)।
তিনি বলেন, ‘তার উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। আমরা একজন মহান নেতাকে হারালাম। আমরা একজন সত্যিকারের ভদ্রলোককে হারালাম।’
তার মতে, লতিফুর রহমান পরিচ্ছন্ন ব্যবসা করতেন এবং তিনি ছিলেন সৎ মানুষ। বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে পছন্দের উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি।
সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে He lived and built quietly. But his legacy will reverberate for eternity.
Comments