কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার দাবি
সীমিত আকারে হলেও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
জীবন-জীবিকার তাগিদে বিষয়টি মানবিক বিবেচনার জন্য গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুবীর চৌধুরী বাদল ও সাধারণ সম্পাদক মো. করিম উল্লাহ কলিম।
আবেদনে তারা বলেন, ‘করোনার কারণে গত ২০ মার্চ থেকে কক্সবাজারের সব আবাসিক হোটেল, মোটেল, কটেজ ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রায় ১০০ দিন অতিবাহিত হলেও আমরা কোন ধরণের সরকারি-বেসরকারি সাহায্য পাইনি। আমরা চরম আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছি।’
তারা আরও বলেন, ‘শুধু আমরা নই, কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার অবস্থা বর্তমানে খুবই শোচনীয়।’
‘ইতোমধ্যে সীমিত আকারে পরিবহন, দোকান-মার্কেট, ব্যাংক ও কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে,’ উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এ সময়ে মানুষের শরীরিক ও মানসিক শক্তি বিকাশে ভ্রমণের প্রয়োজন রয়েছে। সারাদেশে হোটেল ও রেস্তোরাঁ খুলে দিলেও কক্সবাজারে এখনো বন্ধ রয়েছে। আরও কিছুদিন বন্ধ রাখা হলে আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাটা দুরূহ হয়ে পড়বে।’
এসব বিবেচনায় পর্যটন শহরের আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও সমুদ্রসৈকত জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতির হিসাব মতে, জেলা শহরে তিন হাজারের মতো দোকানপাট রয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। সাড়ে চার শতাধিক আবাসিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসে রয়েছে ১৫ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী। যারা লকডাউনের নেতিবাচক প্রভাবে পড়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
গত ৫ জুন কক্সবাজার পৌর এলাকাকে ‘রেডজোন’ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের স্বাক্ষরে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত দুই দফায় টানা ২৫ দিন লকডাউনে থাকে কক্সবাজার।
সে সময় সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য খোলা রাখা হলেও অন্যান্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
Comments