বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে রাজি নন মেসি!

লিওনেল মেসি বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং আগামী বছর তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ক্লাবটি ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। চোখ কপালে তোলার মতো এমন দাবি করেছে স্পেনের রেডিও স্টেশন কাদেনা সার।
শুক্রবার গণমাধ্যমটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেসি ও তার বাবা হোর্হে বার্সার সঙ্গে তার শেষ চুক্তিটি, যা ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা নবায়ন করার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্প ন্যুতে থাকতে না চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, গেল কয়েক মাসে বার্সেলোনার কর্তাদের বরাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কিছু সংবাদে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মেসি। যেমন, গেল জানুয়ারিতে সাবেক কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেকে বরখাস্ত করাসহ ক্লাবটির আরও অনেক সিদ্ধান্তের পেছনে তিনি কলকাঠি নেড়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তাছাড়া, কাতালানদের বর্তমান স্কোয়াডের মানের ঘাটতি নিয়েও তিনি খুবই হতাশ।
এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স আর্জেন্টিনা অধিনায়কের প্রতিনিধি ও বার্সেলোনা কর্তাদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া চেয়ে অনুরোধ করলেও কোনো জবাব পায়নি।
গেল মঙ্গলবার রাতে ৩৩ বছর বয়সী মেসি অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেও ম্যাচটি বার্সা ড্র করে ২-২ ব্যবধানে। এতে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা প্রায় ফিকে হয়ে গেছে তাদের। আসরের মাত্র পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে চার পয়েন্টে এগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে তাদের ঠিক সামনেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
বার্সার সঙ্গে মেসির সম্পর্ক প্রায় ২০ বছরের। ২০০১ সালে বয়সভিত্তিক দলে যোগ দেওয়ার পর সিনিয়র ক্যারিয়ারের পুরোটা কাটিয়ে দিয়েছেন সেখানে। রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা হয়ে উঠেছেন ক্লাবের নামের সমার্থক। কিন্তু গেল কয়েক মাসে বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না মেসির। বিভিন্ন ইস্যুতে খোলাখুলিভাবে ক্লাব কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন তিনি।
গেল ফেব্রুয়ারিতে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন যে, এবারের মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য যথেষ্ট ভালো নয় বার্সার স্কোয়াড।
এরপর এপ্রিলে বার্সেলোনার ফুটবলাররা করোনভাইরাস মহামারির সময়ে দলের আর্থিক ঘাটতি পূরণে সহায়তা করতে বেতন-ভাতা কম নিতে রাজি হননি বলে যে মিথ্যা অভিযোগ উঠেছিল, তার জন্যও বোর্ডকে দায়ী করে সরব হয়েছিলেন তিনি।
Comments