চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে চলছে গণপরিবহন

ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহনে সরকারি নানান স্বাস্থবিধি ও নির্দেশনা থাকলে তা মানছেন না চট্টগ্রামের অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিকরা। এমনকি গনপরিবহণে হ্যান্ড স্যানিটাইজড করার নামে শুধু পানি দিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চলছে প্রতারণা। নগরীতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এমনই অনিয়ম চোখে পড়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের।

গণপরিবহনে স্যানিটাইজার না থাকা, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, পানি দিয়ে স্যানিটাইজড করা ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীসহ ২০ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রামমাণ আদালত।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে নগরীর জিইসি মোড় ও ওয়াসা মোড়ে গণপরিবহনে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। 

অভিযানকালে নগরীর জিইসি মোড় ও ওয়াসা মোড়ে দেখা যায়, অনেক বাস, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ী স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘কয়েকটি বাসে দেখা যায় সুরক্ষা সামগ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই, ড্রাইভার হেল্পারসহ যাত্রীদেরকেও মাস্ক পরিহিত দেখা যায়নি। বাসে হ্যান্ডস্যানিটাইজার যেগুলো আছে তা জীবাণুনাশক না। আবার কয়েকটি বাসে শুধু পানি দিয়ে স্যানিটাইজড করা হচ্ছে। যা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।’

‘কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ২ সিটের জায়গার একজন থাকার কথা থাকলেও ২ থেকে ৩ জনও বসা অবস্থায় দেখা যায়’, বলেন ওমর ফারুক।

অভিযানের সময় যাত্রীরা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যবিধি পালনে কথা বললে অনেক ক্ষেত্রে ড্রাইভার ও হেল্পার মিলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে তারা ভালো সাজেন।

‘স্যানিটাজার না থাকা, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, পানি দিয়ে স্যানিটাইজড করা ও  অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে ১০ জন ড্রাইভারকে ৩০০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়’, বলেন ওমর ফারুক।

এছাড়াও ব্যাক্তিগত নোহা গাড়ী ও সিএনজিতে অধিক যাত্রী থাকায় চালক ও যাত্রীসহ ১০ জনকে ১০০০  টাকা অর্থদণ্ড করা হয় বলেও জানান তিনি।

পরবর্তীতে জিইসি মোড়ে  প্রায় ১০ জন সিএনজি ড্রাইভারকে একত্রিত করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে এবং অন্যদের উৎসাহিত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কয়েকটি টিম গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে গত মার্চ মাস থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

11h ago