করোনাভাইরাস

বিশ্বে মৃত্যু ৫ লাখ ২৫ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ২৯ হাজারের বেশি

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ১০ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন সাড়ে ৫৮ লাখের বেশি মানুষ।
চিলিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর বাসায় যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ২ জুলাই ২০২০। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ১০ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন সাড়ে ৫৮ লাখের বেশি মানুষ।

আজ শনিবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬০ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ১২১ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৭ জন।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ৩২১ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ২৯ হাজার ৪৩৪ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৯০ হাজার ৪০৪ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮১ জন, মারা গেছেন ৬১ হাজার ৮৮৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৮৪ হাজার ৬১৫ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২১৬ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৭৫ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, পেরু ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ জন এবং মারা গেছেন নয় হাজার ৮৪৪ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৩৭ হাজার ১৫৫ জন। পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৯ জন এবং মারা গেছেন ১০ হাজার ২২৬ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮৫ হাজার ৮৫২ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার ৮৯ জন এবং মারা গেছেন ছয় হাজার ৫১ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৩ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৪৮ হাজার ৩১৫ জন, মারা গেছেন ১৮ হাজার ৬৫৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৯৪ হাজার ২২৭ জন।

ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫০ হাজার ৫৪৫ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪১ হাজার ১৮৪ জন, মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৮৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯১ হাজার ৪৬৭ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ চার হাজার ২২২ জন, মারা গেছেন ২৯ হাজার ৮৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ১৮৫ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৬ হাজার ৭৮০ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮০ হাজার ৩০০ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৫ হাজার ৪২৯ জন, মারা গেছেন ১১ হাজার ২৬০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৬ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ তিন হাজার ৪৫৬ জন, মারা গেছেন পাঁচ হাজার ১৮৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৭৮ হাজার ২৭৮ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮৩৮ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৯ হাজার ৬৮০ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন এক হাজার ৯৬৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৪৮ জন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago