নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় একজনকে পিটিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে জয়দেব পোদ্দারকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নরসুন্দর (নাপিত) যুবরাজ চন্দ্র দাস (২৬) পলাতক রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয়দেব পোদ্দার একই গ্রামের স্বপন পোদ্দারের ছেলে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, নিহত জয়দেব পোদ্দারের স্ত্রীকে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনের সড়ক পুনঃনির্মানের কাজের শ্রমিক হিসেবে একটি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে কয়েকদিন আগে জাতীয় পরিচয়পত্র নেন প্রতিবেশী খোকন চন্দ্র দাসের স্ত্রী। গতকাল বিকেলে খোকনের স্ত্রী পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিতে পুনরায় জয়দেব পোদ্দারের স্ত্রীর কাছে আসেন। ছবি দিলে তো নিজেই ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে কার্ড করতে পারবেন বলে দাবী করেন জয়দেবের স্ত্রী। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
ঝগড়ার শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন জয়দেব পোদ্দার ও খোকনের ছেলে যুবরাজ চন্দ্র দাস। বাকবিতন্ডার মধ্যে যুবরাজ উত্তেজিত হয়ে জয়দেব পোদ্দারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে যুবরাজ একটি লাঠি নিয়ে জয়দেবের মাথায় আঘাত করলে তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বাড়ির মানুষ জয়দেবকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে আজ শনিবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পলি শাহা বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় সময় লাগছে।’
Comments