করোনা আক্রান্তের পরও রোগী দেখেন চিকিৎসক, তদন্তে কমিটি

পটুয়াখালীতে ডায়গনস্টিক সেন্টার লকডাউন
পটুয়াখালী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পরও ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ।

সেইসঙ্গে চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বার যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেই নোভা ডায়গনস্টিক সেন্টারটি লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন।  

শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লতিফা জান্নাতী এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদ অনির্দিষ্টকালের জন্য ডায়গনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেন।

লতিফা জান্নাতী জানান, ডা. মাহমুদুর রহমান করোনা ভাইরাস পজেটিভ হওয়ার পরও তার চেম্বারে রোগী দেখে আসছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নোভা ডায়গনস্টিক সেন্টার লকডাউন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডা. মাহমুদুর রহমান গত ১ জুলাই করোনা উপসর্গ থাকায় পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরদিন রাতে আইসিডিডিআরবির ল্যাব থেকে আসা প্রতিবেদনে তার করোনা শনাক্ত হয়। ডা. মাহমুদুর রহমান পরদিন শুক্রবার তার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেন।

জানতে চাওয়া হলে ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটায় আমি করোনা আক্রান্তের বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং যাদের সিরিয়াল নেয়া হয়েছে, তাদের চিকিৎসার পরবর্তী ধাপের জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।’

বিষয়টি অনৈতিক কি না প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, ‘অনৈতিক হলে সরকার আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, আমার কোন আপত্তি নেই।’

এ সময় তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান তাদের কাছে ডাক্তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি জানাননি, জানলে তারা আসতেন না।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গতকাল রাতে জেনেছি ঘটনাস্থলে স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতিনিধি দল গিয়েছিল তারা ডাক্তাকে পাননি, তবে চেম্বারসহ ডায়গনস্টিক সেন্টারটি তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসকসহ অন্তত ১০ জন চিকিৎসক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন, এছাড়াও ২৫ থেকে ৩০ জন নার্সের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

7h ago