বালুর বাঁধে ভাঙন রোধের চেষ্টায় তিস্তাপাড়ের মানুষ

তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ৪০০ ফিট বালুর বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধটি যেন ধসে না যায় সেজন্য লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ের মানুষেরা তা রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ দুপুর থেকে গ্রামের লোকজন নিজেদের উদ্যোগে বস্তায় বালু ভরে বাঁধে ফেলছেন।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধান গ্রামে নিজ উদ্যোগে নির্মিত বালুর বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় তিস্তাপাড়ের মানুষ বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছেন। ছবিটি আজ রবিবার (৫.৭.২০২০) দুপুরে তোলা। ছবি: এস দিলীপ রায়

তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ৪০০ ফিট বালুর বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধটি যেন ধসে না যায় সেজন্য লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ের মানুষেরা তা রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ দুপুর থেকে গ্রামের লোকজন নিজেদের উদ্যোগে বস্তায় বালু ভরে বাঁধে ফেলছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি অভিযোগ তুলে তারা বলেন, গ্রামবাসী নিজেদের চাঁদা দিয়ে বালির বাঁধটি নির্মাণ করলেও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েও এগিয়ে আসেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরকারি এই দপ্তরটি কিছু জিও-ব্যাগ দিলে বাঁধটিতে ডাম্পিং ও পিচিং করে তা রক্ষা করা যেত।

গোবর্ধান গ্রামের কৃষক আজগর আলী (৬৫) বলেন, সরকারি সহায়তা না পেয়ে নিজেদের উদ্যোগে বালুর বাঁধটি নির্মাণ করেছিল গ্রামবাসী। কিন্তু জিও-ব্যাগ না ফেলার কারণে তিস্তার পানির আঘাতে বাঁধটিতে ধস দেখা দিয়েছে। এই বালুর বাঁধটির কারণে তারা এ বছর বন্যার গ্রাস থেকে রক্ষা পেয়েছেন আর রক্ষা পেয়েছে তাদের বাড়ি-ঘর আর জমির ফসল। কিন্তু বাঁধটি ধসে গেলে আবারও তাদের বন্যা আর ভাঙনে চরমভাবে ক্ষতির মুখে পরতে হবে বলে তিনি জানান।

অপর কৃষক দেলোয়ার হোসেন (৫৫) বলেন, জিও-ব্যাগের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু আজ-কাল করে কালক্ষেপণ করায় অবশেষে বাঁধটি তিস্তার ভাঙনে ধসে যাওয়ার পথে।

গ্রামের বাসিন্দা সেফাউল নুর জানান, গ্রামবাসী নিজের উদ্দ্যেগে বালুর বাঁধটি রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছেন কিন্তু জিও-ব্যাগ না ফেলা হলে তিস্তার কড়াল স্রোতে তা রক্ষা করা কঠিন হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড চাইলে এখনো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বালুর বাঁধটি রক্ষা করে গ্রামবাসীকে বন্যা ও ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পারে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের জানান, এই মুহূর্তে কোন বরাদ্দ নেই তাই গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত ওই বালুর বাঁধ রক্ষায় জিও-ব্যাগ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English
bd govt logo

25 districts including Dhaka get new DCs

Deputy commissioners were withdrawn from these districts on August 20

1h ago