তোমার নীতি-নৈতিকতা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে: সিমিন হোসেন
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের স্মরণে আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় স্মরণসভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। যা দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন ও ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে।
লতিফুর রহমানের নাতি জারিফ আয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় আয়োজনের শুরুতেই কথা বলেন মেয়ে সিমিন হোসেন।
লতিফুর রহমান স্মরণে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ দিয়ে সিমিন হোসেন তিনি বলেন, ‘লতিফুর রহমানের নামের প্রতিশব্দ হচ্ছে দেশের উদ্দীপনায় নৈতিক ব্যবসা, নৈতিক মান, ব্যবসায় শ্রেষ্ঠত্ব। তবে, আমার কাছে তিনি সবসময়ই “আব্বু” ছিলেন। একজন সন্তান হিসেবে আমি আমার আব্বুকে এমন একজন হিসেবে জানি, যিনি পরিবারের সবাইকে এক করে রেখেছেন। একজন মানুষ যিনি আমাদের সব ঝামেলা-সমস্যা আমাদের অগোচরে নিয়ে যেতেন। আমার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আব্বু আমার “হিরো ও বাবা” থেকে ধীরে ধীরে আমার পরামর্শদাতা, আত্মবিশ্বাস ও শক্তিতে রূপান্তরিত হলেন।’
‘২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিনতম দিন। ওই দিন আমি আমার ফারাজকে হারিয়েছি। কিন্তু, আমি কোনোদিন কল্পনাও করিনি যে এই দিনটাতেই আব্বুকে হারাব। এটি প্রায় অবিশ্বাস্য। মনে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা এভাবেই ঠিক করে রেখেছিলেন যে তারা দুই জন এক হয়ে যাবেন। ঠিক একই দিনে ঘুমের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। এখন পহেলা জুলাই আমাদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন, একজন না, আমাদের পরিবারের দুই জনের জন্য, যারা অনন্তকাল আমাদেরকে গর্বিত করে রাখবে। আমি আমার স্মরণে তার ছবিটা অঙ্কিত করে রেখেছি, যেখানে তিনি হাস্যজ্জ্বল এবং তার সঙ্গে রয়েছে শাজনীন ও ফারাজ’, বলেন তিনি।
বাবা লতিফুর রহমানের জীবনে মা শাহনাজ রহমানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সিমিন হোসেন বলেন, ‘আম্মুকে ছাড়া আব্বু কখনই সম্পূর্ণ হতে পারতেন না।’
‘যদিও আব্বু আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তবুও জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই তিনি তোমার সঙ্গে আছেন’, মায়ের উদ্দেশে বলেন তিনি।
সবশেষে বাবার উদ্দেশে সিমিন হোসেন বলেন, ‘আব্বু তোমার বড় মেয়ে হিসেবে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, তোমার নীতি-নৈতিকতা (স্পিরিট) আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সততার ও নৈতিকতার যে জীবনের শিক্ষা তুমি আমাদের দিয়েছ, তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর থাকবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, তোমার জীবনের উত্তরাধিকার চলতে থাকবে।’
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লায় পৈত্রিক বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লতিফুর রহমান (৭৫)। ওই দিন রাতে তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
Comments