৩ দিন বন্ধের পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
অবশেষে ভারত বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করতে রাজি হওয়ায় তিন দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পুনরায় শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
আজ রবিবার বিকালে দু’দেশের কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ফলপ্রসূ বৈঠকের পর পুরোদমে শুরু হয় এ বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
বাংলাদেশ থেকে পাঁচ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ভারতে। আর ভারত থেকে পাঁচ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দরে। এতে বেনাপোল বন্দরে আগের মত ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচ সংগঠন বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে ভারতীয় আমদানি পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দেয়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে ভারতের রাজ্য সরকার বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য ভারতে ঢুকতে দেয়নি গত তিন মাস ধরে। অথচ বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ৭ জুন থেকে প্রতিদিন ৩’শ ট্রাক ভারতীয় আমদানি পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে অবাধে। তিন দিন আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে লোড আনলোড ও মালামাল ডেলিভারি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল।
তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি টাকার আমদানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। পক্ষান্তরে দুই হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। তিন মাস বন্ধ থাকায় রপ্তানি বাণিজ্যে ঘাটতি দেখার আশঙ্কা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু হওয়ায় প্রায় দুই হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক বন্দরে কাজে যোগদান করেছে দ্রুত মালামাল লোড আনলোডের জন্য।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, ভারত বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করতে রাজি হওয়ায় বিকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, দু’দেশের কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ফলপ্রসূ বৈঠকে ভারত বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করতে সম্মত হওয়ায় পুনরায় দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
Comments