পাপুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি

মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত শুরু করেছে।
সিআইডির ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ইমতিয়াজ আহমেদ আজ সোমবার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে পাপুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি। প্রমাণসহ বিস্তারিত পরে প্রকাশ করব। ধৈর্য ধরুন।’
লিবিয়ায় পাচার হয়ে যাওয়া ২৬ বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলাপকালে সিআইডির সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
লিবিয়ায় মানব পাচার মামলার তদন্ত সম্পর্কে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক ইস্যু। অনেক কিছু বিবেচনা করে সিআইডিকে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আশা করি শিগগির এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারব। সারা দেশ থেকে ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে ৩৬ জনকে। ২০ জন ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’
মাহবুব বলেন, লিবিয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত ২৬টি মামলার মধ্যে, সিআইডি ১৫টির তদন্ত করছে। সিআইডির ক্রাইম ইউনিট সবগুলো মামলাই পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনে পরবর্তী তদন্তের জন্য সিআইডি মামলাগুলো নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মানব পাচারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছে পাচারকারীরা। এ মুহূর্তে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য কাজ করছে সিআইডি। এক এজেন্সির পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব পাওয়া গেছে।
এ মামলার তদন্তের বিষয়ে ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তারা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া তিন মানব পাচারকারীর সম্পদ ও অর্থপাচারের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে।
পাচারকারী চক্রের তিন হোতাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা এখন বিদেশে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি। গ্রেপ্তারের পর তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। অন্যথায় তারা সতর্ক হয়ে যেতে পারে।’
Comments