রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে করোনার হানা
পাবনায় দ্রুত হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত দুইদিনে পাবনায় নতুন আক্রান্তের বেশিরভাগ রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের শ্রমিক-কর্মচারী। তবে, আক্রান্ত হওয়া কেউ পারমাণবিক প্রকল্পের স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী নয়। তারা সবাই নতুন কাজে এসেছেন বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আজ সোমবার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এএফএম ডা. আসমা খাতুন বলেন, ‘ঈশ্বরদীতে গত দুই দিনে প্রায় ৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের বেশিরভাগই রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের সাব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাহাড়পুর কুলিং টাওয়ার লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারী।’
প্রায় আটশ নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষা করে তাদের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে বলে ডা. আসমা জানান।
ডা. আসমা আরও বলেন, ‘পারমাণবিক প্রকল্পে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রাইভেট সংস্থার মাধ্যমে তাদের কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে। সেখানে আরও করোনা রোগী আছে। তাদের কোনো তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই।’
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের সাব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাহাড়পুর কুলিং টাওয়ার লিমিটেডের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে প্রকল্পের কাজের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান।
রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রধান (পিডি) ড. শওকত আকবর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আক্রান্ত কেউ পারমাণবিক প্রকল্পের নিয়মিত শ্রমিক-কর্মচারী নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে নতুন কাজে যোগ দিতে আসে। তারা নিয়ম অনুযায়ী করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে গেলে তাদের করোনা শনাক্ত হয়। এতে মূল প্রকল্পের কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে প্রকল্পের ভেতরে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছ। যেখানে প্রতিদিন প্রত্যেক শ্রমিক-কর্মচারী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রকল্পে প্রবেশ করে, ফলে প্রকল্পের ভেতরে রোগ সংক্রমণের কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।’
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘গত দুই দিনে পাবনায় প্রায় ১৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের অধিকাংশ রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের শ্রমিক ও কর্মচারী।’
Comments