বন্যা পরিস্থিতি

মানিকগঞ্জে পানিতে তলিয়েছে ফসলি জমি, নদীগর্ভে বিলীন ৫০০ স্থাপনা

কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনের মুখে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁছবারইল গ্রামের বসতবাড়ি। ছবিটি গতকাল সোমবার (৬.৭.২০২০) তোলা। সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, ইছামতিসহ জেলার অভ্যন্তরীণ নদীর পানি বাড়ছে। গত সাত দিনে পানিতে তলিয়েছে আড়াই হাজার হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস জানান, ২ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমির বোনা আমন, ৩৫ হেক্টর জমির আউশ, ১৮০ হেক্টর জমির ভুট্টা, ৫০ হেক্টর জমির তিল ও ৫ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।

তিনি জানান, জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে হরিরামপুরে ৮০৩ হেক্টর, ঘিওরে ৭৩২ হেক্টর ও শিবালয়ে ৬৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়েছে। এছাড়া, দৌলতপুরে ৩৪০ হেক্টর ও সাটুরিয়ায় ১৪৯ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে।

নদীতে জোয়ারের পানি আসা-যাওয়ার কারণে গত একমাসে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫টি স্থানে ভাঙন মারাত্মক রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন।

তিনি বলেন, পদ্মাপাড়ের হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও ধুলসুরা, যমুনা পাড়ের দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা, চরকাটারী ও আমতলী, শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট, নেহালপুর, আরুয়া-কুষ্টিয়া, ধলেশ্বরী নদী পাড়ের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া, নারচী, শ্রীদামনগর বাজার ও কুস্তা, সাটুরিয়া উপজেলার চরতিল্লি, বরাইদ, ছনকা বরাইদ এবং কালীগঙ্গা নদীপাড়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেংরই, পাঁছবারইল ও দক্ষিণ চইল্যা এলাকার পাঁচ শতাধিক বসত বাড়ি, আবাদি জমি, স্কুল, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বর্ষা মৌসুম শেষে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Wrap up polls preparations by December

Chief Adviser Muhammad Yunus yesterday instructed all relevant authorities to complete preparations by December for the upcoming national election.

1h ago