সন-লরিসের হাতাহাতি সুন্দর লেগেছে মরিনহোর

টটেনহ্যাম হটস্পার্সের অধিনায়ক হুগো লরিস ও দলের অন্যতম সেরা তারকা হিউং-মিন সন আগের দিন ম্যাচের মাঝেই হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছেন। তাও প্রতিপক্ষের সঙ্গে নয়, নিজেরা নিজেরাই। এমন ঘটনায় 'খুশী' হয়েছেন দলের প্রধান কোচ হোসে মরিনহো। সংবাদ সম্মেলনে এ লড়াইকে সুন্দর বললেন তিনি। অবিশ্বাস্যই বটে। তবে কেন বলেছেন তার যুক্তিও তুলে ধরেছেন স্পেশাল ওয়ান।

টটেনহ্যাম হটস্পার্সের অধিনায়ক হুগো লরিস ও দলের অন্যতম সেরা তারকা হিউং-মিন সন আগের দিন ম্যাচের মাঝেই হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছেন। তাও প্রতিপক্ষের সঙ্গে নয়, নিজেরা নিজেরাই। এমন ঘটনায় 'খুশী' হয়েছেন দলের প্রধান কোচ হোসে মরিনহো। সংবাদ সম্মেলনে এ লড়াইকে সুন্দর বললেন তিনি। অবিশ্বাস্যই বটে। তবে কেন বলেছেন তার যুক্তিও তুলে ধরেছেন স্পেশাল ওয়ান।

সোমবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এভারটনের বিপক্ষে মাঠে নামে টটেনহ্যাম। মাঝ বিরতির সময় ডাগআউটের কাছে হঠাৎ সনের দিকে দৌড়ে দৌড়ে এসে সনকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন লরিস। মাঠেই কথা কাটাকাটি হয় দুইজনের। প্রায় হাতাহাতির দিকেই যাচ্ছিল, তবে সতীর্থরা এসে দুইজনকে আলাদা করে দিয়ে মাঠ ছাড়েন।

আর এ ঘটনায় সবাই অবাক হলেও স্বাভাবিক মরিনহো। মূলত সে ম্যাচে প্রথমার্ধের ঠিক আগে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান সন। কিন্তু পরে বল দখল ফের নিতে চেষ্টা করতে দেখা যায়নি তাকে। ফলে প্রায় গোল করেই যাচ্ছিলেন এভারটন ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। তাতেই খেপেছেন অধিনায়ক। সনের অলসতা পছন্দ হয়নি তার। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সনের দিকে তেড়ে আসেন লরিস।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে এ প্রসঙ্গ। অথচ এ ম্যাচে মরিনহো পেয়েছেন প্রিমিয়ার লীগে নিজের ২০০তম জয়। মাইলফলকের ম্যাচে এমন ঘটনাকে মরিনহো বললেন, ‘সুন্দর।'

'এটা সম্ভবত আমাদের নিজেদের আলোচনার ফল। এরজন্য যদি কাউকে দায়ী করতে হয় তাহলে সেটা আমি। কিছু বলতে হলে আমাকে বলেন। আমি তাদের আরও বেশি কিছু চাওয়ার কথা বলেছি। নিজের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু। আমি তাদের বলেছি সতীর্থদের কাছ থেকে ভালো কিছু বের করতে আরও চাপ দিতে। টিম স্পিরিট বাড়ানোর জন্য সবাই সবাইকে চাপ দিতে।' -যোগ করে আরও বলেন মরিনহো।

সবমিলিয়ে এ ঘটনায় খুশী হয়েছেন বলেই জানান এ পর্তুগিজ কোচ, 'প্রথমার্ধের শেষে এ ঘটনায় ছিল যেখানে দলের দারুণ ছেলে সন যাকে দলের সবাই ভালবাসে। কিন্তু অধিনায়কের মনে হয়েছে ওর দলকে আরও দিতে হবে, পার্থক্য গড়তে যা দিচ্ছে তার চেয়েও বেশি দিতে হবে। কিছু উত্তপ্ত বাক্য, জানি না, হয়তো একটা ধাক্কা, নিশ্চিত নই। তবে এটা আমাদের দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে আমাদের দলের সবার মধ্যে চাহিদা বাড়বে। আমি সত্যি দারুণ খুশী হয়েছি। এর মানে তারা সত্যিই পরোয়া করে।'

বিচ্ছিন্ন এ ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে মরিনহোর দল। আগের ম্যাচেই শেফিল্ড ইউনাইটেডের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল টটেনহ্যাম। এদিন মাইকেল কিনের আত্মঘাতী গোল জয় এনে দিয়েছে তাদের। ৩৩ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার আট নম্বরে উঠে এসেছে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

7h ago