ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে টিউশন ফি ৫০ শতাংশ ছাড়ের দাবি অভিভাবক ফোরামের

ফাইল ফটো স্টার

করোনাভাইরাস মহামারি সময়ে দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে টিউশন ফি ৫০ শতাংশ ছাড়ের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ফোরাম। আজ বুধবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অভিভাবক ফোরাম এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকের অভিভাবকই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন কিংবা ছোট বা মাঝারি ব্যবসা করেন। অনেকেই এ সময়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।  

অনলাইন ক্লাস চলায়, এ সংকট চলাকালীন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি তাদের।

ফোরামের আহ্বায়ক এ কে এম আশরাফুল হক ও সদস্য সচিব এ জেড এম সালাহউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে, করোনাভাইরাস সংকট চলাকালীন টিউশন ফি দেরিতে পরিশোধ কিংবা না দেওয়ার কারণে, কোনও শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল না করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনেরও দাবি রয়েছে তাদের।

এ ছাড়া, একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন, অভিভাবক প্রতিনিধিসহ স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন, টিউশন ও অন্যান্য ফি সহনীয় পর্যায়ে রেখে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর শিক্ষার মান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ফোরাম।

ফোরামের আহ্বায়ক এ কে এম আশরাফুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছয় দফা দাবি পূরণে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাই।'

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে এবং ৬ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।  পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন।

মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি চলাকালীন বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য ও অফিস বন্ধ ছিল। এর মধ্যে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন কিংবা ঠিকমতো বেতন পাননি।

এ পরিস্থিতিতে জুনের মাঝামাঝি, অভিভাবকদের প্ল্যাটফর্ম অভিভাবক ঐক্য ফোরাম চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব বেসরকারি স্কুল-কলেজের টিউশন ফি শতভাগ ছাড়ের দাবি জানিয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Foreign observers who endorsed past three polls won’t be allowed: CEC

Only experienced and reliable observers will be permitted to monitor the upcoming national election, he says

Now