তিস্তাপাড়ে গ্রামবাসীর তৈরি বালুর বাঁধে পৌঁছল জিও-ব্যাগ
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/lalmonirhat_sand_dyke-09.07_0.jpg?itok=lVCnV4EK×tamp=1594293398)
অবশেষে তিস্তাপাড়ে গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত ৪০০ ফিট বালুর বাঁধ রক্ষায় চার হাজার জিও-ব্যাগ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির নির্দেশে এসব জিও-ব্যাগ আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাঁধে পাঠানো হয়। এরপর গ্রামবাসী সকলে মিলে বস্তায় বালু ভরে জিও-ব্যাগগুলো ডাম্পিং ও প্লেসিংয়ের কাজ শুরু করে।
গ্রামবাসীরা জানান, তারা নিজ উদ্যোগে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীর পাড়ে মহিষখোঁচা ইউনিয়নের গোবর্ধানে বালুর বাঁধটি নির্মাণ করেন। কিন্তু তিস্তার কড়াল গ্রাসে বালুর বাঁধটিতে ক্রমেই ধসে যাচ্ছিল। বাঁধ রক্ষায় জিও-ব্যাগ ডাম্পিং ও প্লেসিং জরুরি হয়ে পড়লেও তা কেনার সামর্থ্য ছিল না গ্রামবাসীর।
বিষয়টি সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর নজরে আনলে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেন দ্রুত জিও-ব্যাগের ব্যবস্থা করতে।
তারা আরও জানান, বালুর বাঁধটি তাদের রক্ষাকবচ। এ বাঁধের কারণে বন্যা ও নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে তাদের বসতভিটা, আবাদি জমি, ফসল।
রক্ষাকবচ রক্ষা করতে তারা স্বেচ্ছায় জিও-ব্যাগে বালু ভরে তা ডাম্পিং ও প্লেসিং করছেন। গত মে মাসে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তারা এ বাঁধটি নির্মাণ করেন। গ্রামের দুজন ভিক্ষুক বিধবা নারীও বাঁধ নির্মাণে চাঁদা দিয়ে সহযোগিতা করেন বলে তারা জানান।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মতিয়ার রহমান মতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বালুর বাঁধটির ভাটিতে প্রায় ৫০০ কৃষক পরিবারের বসবাস। এক হাজার বিঘারও বেশি জমিতে আবাদ হয়। গত বছরগুলোতে বন্যার পানিতে ফসল নষ্ট হয়েছিল। সেই সঙ্গে গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল বন্যার পানিতে। এ বছর বালুর বাঁধটির কারণে সেটা হয়নি। কিন্তু বালুর বাঁধটিই ধসে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পরে যান গ্রামের মানুষ। অবশেষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও-ব্যাগ তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এবং তাদের মনোবল দৃঢ় করেছে।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নির্দেশে তিস্তাপাড়ের গোবর্ধান এলাকায় বালুর বাঁধ রক্ষায় চার হাজার জিও-ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও দেওয়া হবে।’
Comments