মেডিকেল সাপ্লাই

১৪ ঠিকাদারের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ১৪ ঠিকাদার ১০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে বলে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ১৪ ঠিকাদার ১০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে বলে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে বলার ছয় মাস পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত জুনের শেষের দিকে সেই ১৪ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে। দুদক তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ প্রতিবেদন দিয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া কালোতালিকায় শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গল সাইন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি। রাজধানীর তোপখানাভিত্তিক এই মেডিকেল যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি বেশিরভাগ টাকাই আত্মসাৎ করেছে।

এই প্রতিষ্ঠানটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রথমে ১৬ কোটি ৬৬ লাখ এবং পরে মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ইউনির্ভাসাল ট্রেড কোম্পানির সঙ্গে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছয় কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করে।

বেঙ্গল সাইন্টিফিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও অর্থ আত্মসাৎ করে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্তায় সেই অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বেঙ্গল সাইন্টিফিক ও মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ছাড়াও, গত বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রংপুর ও সাতক্ষীরায় তিনটি মামলা করা হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে মেসার্স আমিন ট্রেডার্সের সঙ্গে মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের নামও আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্তা মতে, এই দুই ঠিকাদার ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। গত বছর নভেম্বরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থ আত্মসাতের আরেকটি মামলা রয়েছে। সেখানে মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন, মেসার্স এসকে ট্রেডার্স, এমএইচ ফার্মা, মেসার্স অভি ড্রাগস, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসি ও এসএম ট্রেডার্স যন্ত্রাংশ কিনতে ৫ কোটি  টাকার বেশি, ফার্মাসিউটিক্যালস কিনতে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি এবং অনুমোদিত কেনাকাটায় সাড়ে ৯ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক ২০১৮ সালের জুলাইয়ে একটি মামলা দায়ের করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক থেকে কোটিপতি হওয়া আবজাল হোসেনের স্ত্রী রুবিনা খানমের নাম অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে এই তালিকায় রয়েছে।

রুবিনার প্রতিষ্ঠান রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের যন্ত্রাংশ কেনার নামে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তহবিল থেকে ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। গত বছরের এপ্রিল ও জুনে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্তায় বলা হয়েছে, ব্লেয়ার অ্যাভিয়েশন সাড়ে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পকেটস্থ করেছে। ২০১৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

After OCs, EC orders to transfer UNOs

In the first phase, it asked to transfer all UNOs who have been working in their respective upazilas for more than a year

6m ago