লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৬টা থেকে তিস্তার পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে।
তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৬টা থেকে তিস্তার পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, ‘প্রবল বর্ষণ আর উজানে ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’

হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় নদীর পানি ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে। অনেক এলাকায় ডুবে গেছে নলকূপ ও বিছানাপত্র। ফলে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষ।

হাতীবান্ধা উপজেলার চর দোয়ানী এলাকার কৃষক আকলাস উদ্দিন (৫৮) বলেন, ‘আবারও বন্যার কবলে পড়তে হবে তাই তাই দুশ্চিন্তায় আছি। বন্যার কারণে সরকারি রাস্তার উপর অস্থায়ী ঘরে ১০ দিন থাকার পর বাড়িতে ফিরেছি চারদিন আগে। শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। এতে আরও একটি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’

আদিতমারী উপজেলার তিস্তার জর গোবর্ধান এলাকার বানভাসি কৃষক আব্দার হোসেন (৫৮) বলেন, ‘আবারও তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি-ঘরে নদীর পান ঢুকে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আমাদের আবার সরকারি রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে যেতে হবে। একটি বন্যার ক্ষতির ধকল কেটে উঠতে না উঠতে আরেকটি বন্যা পরিস্থিতি আমাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।’

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বন্যার পানিতে ডুবে আরমান হোসেন নামের দুই বছরের এক শিশু মারা গেছে। আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খয়বর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

4h ago