বগুড়ায় এএসআই’র হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
বগুড়ায় মধ্যরাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছে পুলিশ। গতরাত সাড়ে ১২ দিকে বগুড়ার ফুলতলা গোহাইল রোডে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুম হোসেন জাতীয় সংবাদপত্র ‘দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ’র শাজাহানপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে এবং বগুড়ার স্থানীয় দৈনিক ‘জয়যুগান্তর’-এ কাজ করেন।
মাসুম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রতিদিনের মত কাজ শেষ করে সহকর্মী সাংবাদিক আসাফুদ্দৌলা নিয়নকে নিয়ে জয়যুগান্তরের অফিস থেকে ফুলতলা এলাকায় আসি। বাড়ির সামনের এক গলিতে নিয়ন আমাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেন। আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের বিদায় জানাচ্ছিলাম। তখন রাত সাড়ে ১২টা হবে। হঠাৎ পুলিশের একটি টহলরত সিএনজি অটোরিকশা আমাদের সামনে এসে থামে। সিএনজিতে কৈগারী পুলিশ ফাঁড়ির একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং দুজন কনস্টেবল ছিলেন।’
‘এএসআই শরিফুল হক জিজ্ঞেস করেন- আপনাদের বাড়ি কোথায়? এত রাতে এখানে কী করেন? আমি উত্তর দিই বাড়ি এখানেই, অফিস থেকে বাড়ি ফিরলাম, এক মিনিট গল্প করে বিদায় নিচ্ছি। এ কথা বলার পরপরই ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন’, বলেন মাসুম।
তিনি বলেন, ‘আমি শরিফুল হকের কথায় প্রতিবাদ করি এবং বলি- কেন এভাবে গালাগাল করছেন?’
‘পরে এএসআই শরিফুল হক সিএনজি থেকে বেরিয়ে এসে আমার গায়ে হাত তুলেন। তিনি আমাদের পরিচয় দেওয়ারও সুযোগ দেননি’, বলেন মাসুম।
মাসুমের সহকর্মী সাংবাদিক আশাফুদ্দৌল্লা নিয়ন বলেন, ‘পরিচয় দেওয়ার পরেও পুলিশ সদস্যরা গালাগাল করতে থাকেন এবং আমাদের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তারা শাজাহানপুর থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। ওসি এসে সব শুনে আবার চলে যান।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা শরিফুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে বলেন, ‘সাংবাদিকরা প্রথমে তাদের পরিচয় না দেওয়ায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে লজ্জিত। আমার সঙ্গে দুজন কনস্টেবল (সিদ্দিক এবং হারুন) ছিল। আমি আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে চাই। ফোনে সব খুলে বলতে পারব না।’
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমার একজন অফিসারকে ঘটনাটি দেখতে বলেছি। তার তদন্তের ওপর ভিত্তি করে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments