টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১
কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সৈয়দ আলম (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ভোররাত ৩টার দিকে টেকনাফের স্থলবন্দরের দমদমিয়ার কেয়ারি খালের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির দাবি, সৈয়দ আলম মাদক চোরাকারবারি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও, এই ঘটনায় তাদের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন।
বিজিবি জানায়, সৈয়দ আলম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাইট্যংপাড়ায় বসবাসকারী সৈয়দ আহম্মদের ছেলে। তবে, সৈয়দ আলম মিয়ানমারের নাগরিক। বিগত ১০ বছর যাবত এই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন।
টেকনাফস্থ বিজিবি ব্যাটালিয়ন-২’র অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, কেয়ারি খাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে দেশে প্রবেশ করবে, এমন সংবাদ পেয়ে আজ ভোররাত ২টার দিকে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল সেখানে অবস্থান নেয়। তখন সেখানে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিজিবি। কিছুক্ষণ পরে অপর এক ব্যক্তি মিয়ানমার থেকে নাফ নদী সাঁতরিয়ে তীরে প্রবেশ করে এবং তিন জন একত্রিত হয়। সে সময় বিজিবির টহল দল তাদের থামার জন্য নির্দেশ দেয়। এতে তারা সাড়া না দিয়ে বিজিবির ওপর গুলি ছোড়া শুরু করে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হলে আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিন-চার মিনিট গুলি বিনিময়ের পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা।
পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে বিজিবি। দ্রুত তাকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি মূলত মিয়ানমারের নাগরিক। বিগত ১০ বছর পূর্বে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে টেকনাফে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি মাদকের চোরাকারবার করে আসছিলেন।’
এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Comments