আইসিসি চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে যা ভাবছেন সৌরভ

sourav ganguly

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়ে নেতৃত্বগুণে প্রশংসা পাচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। আইসিসির চেয়ারম্যান পদেও তাকে দেখার আলোচনা তাই তৈরি হয়েছে। আছে সম্ভাবনাও। এই বিষয়ে সৌরভ নিজে কি ভাবছেন? আইসিসি চেয়ারম্যান হতে গেলে যে ছাড়তে হবে বিসিসিআইর সভাপতি পদ, পেতে হবে বোর্ডের সমর্থন।  ভারতীয় এক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন নিজের ভাবনা।

শশাঙ্ক মনোহরের দায়িত্ব ছাড়ার পর আইসিসি চেয়ারম্যান পদে নতুন একজন দরকার। এজন্য যাদের নাম আলোচনায় আছে তাদের মধ্যে আছেন সৌরভও। ভারতীয় বোর্ড থেকে যদি সৌরভকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তবেই তিনি এই পদের জন্য লড়তে পারবেন।

নিজের ইচ্ছের থেকেও তাই বোর্ডের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক, তার মাথায় ঘুরছে বিসিসিআইর পদ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও, ‘আমার নিজেরও ধারণা নেই কী হবে। এসব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। আর আইসিসির নিয়ম কানুন আগের মতো না। এখন আইসিসিতে স্বাধীন চেয়ারম্যান হতে গেলে নিজের দেশের বোর্ডের কোন পদে থাকা যাবে না।’

বিসিসিআই’র দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের অনেকগুলো পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আইসিসি চেয়ারম্যান হতে গেলে ছাড়তে হবে বোর্ডের পদ। মাঝপথে এমনটা করা ঠিক হবে কিনা তা নিয়েও দোলাচলে তিনি, ‘আমি বুঝতে পারছি না এই পর্যায়ে বিসিসিআই ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে কিনা। কিংবা বিসিসিআই ছাড়ার অনুমতিই বা আমাকে দেওয়া হবে কিনা। হুটহাট কিছু করতে চাই না। আমার বয়স বেশি না, কোন তাড়াহুড়ো নেই। সারাজীবনে এমন সম্মানের পদে একবারই বসা যায়।’

আইসিসি চেয়ারম্যান পদের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ডেভ ক্যামেরন, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভসের নামও শোনা যাচ্ছে। এদের তুলনায় খেলোয়াড়ি অনেক বেশি ঋদ্ধ সৌরভের প্রোফাইল। সৌরভের আপাতত চিন্তা তাই নিজের বোর্ডের সিদ্ধান্ত কি হয় তার উপর, ‘খেলাধুলার কথা যদি বলেন  হয়ত সম্ভাব্য অনেকের থেকে আমার জানার পরিধি বেশি। কারণ খেলেই তো গেছে সারাজীবন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আইসিসি বা এসিসি যেখানেই যাব বোর্ডের থেকেই সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্তটা আসতে হবে।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

1h ago