নোয়াখালীতে ৬০০ বস্তা সরকারি গম জব্দ, আটক ১
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন গুদাম থেকে ৬০০ বস্তা সরকারি গম জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক প্রবীর কুমার মণ্ডল বাদি হয়ে আজ সোমবার দুপুরে বেগমগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
গতকাল রাত ১০টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী দক্ষিণ বাজার ভাই ভাই ফ্লাওয়ার মিলের গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবিএম ফারুক, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সরোয়ার কামাল, বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, এনএসআই কর্মকর্তা আবু তাহের নিজামী, সিরাজুল ইসলাম, জামাল উদ্দিনসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
এনএসআই নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবিএম ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ফ্লাওয়ার মিল ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মালেকের গুদামের ভিতর থেকে ও গুদামের সামনে থাকা একটি ট্রাক থেকে সরকারি সিলযুক্ত ৬০০ বস্তা সরকারি গম জব্দ করা হয়।’
‘সেসময় গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তবে গুদামের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।’
এ ঘটনায় হাজী আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মাসুমকে আটক করে বেগমগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয় বলেও জানান তিনি।
‘গমগুলো লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা থেকে আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো বিনির্মাণে ও সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী কাবিখা ও টিআর এর জন্য বরাদ্দ এসব গম কাজে না লাগিয়ে জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের যোগসাযোশে কালোবাজারে ক্রয়-বিক্রয় করে অবৈধভাবে মজুদ রাখ হয়েছিল,’ যোগ করেন তিনি।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরোয়ার কামাল ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। সেসময় সরকারি সিলযুক্ত ৬০০ বস্তা গম পাওয়া যায়। মিলের মালিকের ছেলে মো. মাসুমের কাছে এ সব গমের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে এবং গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’
Comments