নেইমার-এমবাপেদের প্রীতি ম্যাচ দেখলো ৫০০০ সমর্থক
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমার পর শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে লিগা ওয়ান ছাড়া সব লিগই গড়িয়েছে মাঠে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিগেই ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে যাওয়ার অনুমতি মিলেনি। বন্ধ দরজায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ম্যাচগুলো। আর যেই লিগ বাতিলই করা হয়েছে, তাদেরই দুটি দল প্রীতি ম্যাচ খেলেছে পাঁচ হাজার সমর্থকদের সামনে!
রোববার নরমান্দি পোর্ট সিটিতে অ্যারেনায় লিগা টুর দল লা হার্ভের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামে লিগা ওয়ানের চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আর এ ম্যাচে দারুণ প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন নেইমার-এমবাপেরা। দ্বিতীয় স্তরের দলটিকে তারা উড়িয়ে দিয়েছেন ৯-০ গোলের ব্যবধানে। জোড়া গোল দিয়েছেন নেইমার, মাউরো ইকার্দি ও পাবলো সারাবিয়া। তবে ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে আলোচনা উপস্থিত সমর্থকদের দিয়ে।
অতিমারির এ সময়ে গত মার্চের পর এই প্রথম সেরা পাঁচ লিগের কোনো দেশের সমর্থকরা মাঠে বসে খেলার সুযোগ পেলেন। আর দীর্ঘদিন পর ফেরা ম্যাচটি দেখতে সমর্থকদের আগ্রহও ছিল ব্যাপক। ৩০ থেকে ৬০ ইউরো মূল্যের টিকেট বিক্রি হয়ে যায় মাত্র ৬ মিনিটে। সমর্থক উপস্থিতির এ প্রীতি ম্যাচকে ফুটবলের জয় বলেছেন দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী রোজেনা মারাকিনেয়ানু, 'সাধারণভাবে খেলাধুলার ক্ষেত্রে ফ্রেঞ্চ ফুটবলের জন্য এটা একটা জয়।'
অথচ গত এপ্রিলে সরকারী সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করেই ফরাসি লিগ বাতিল করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপে বলেছেন, 'সেপ্টেম্বরের আগে কোনো বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হওয়া সম্ভব নয়। ২০১৯-২০ পেশাদার ফুটবল মৌসুম আবার শুরু করা যাবে না।' তবে সেপ্টেম্বরের আগেই সমর্থকদের মাঠে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় সরকার। তবে সংখ্যাটা এক পঞ্চমাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ২৫ হাজার।
উল্লেখ্য, লিগ বাতিল হলেও আগামী ফরাসি কাপ ও ফরাসি লিগ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৪ জুলাই ফরাসি কাপের ফাইনালে সেইন্ট-অ্যাতিয়েনের মুখোমুখি হবে পিএসজি। এরপর ৩১ জুলাই ফরাসি লিগ কাপের ফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ অলিম্পিক লিঁও। ৮০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্যারিসের স্তাদি দে ফ্রান্সে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে মাঠে কতজন সমর্থক ঢুকতে পারবেন বা আদৌ পারবেন কি-না, তা আগামী ১৮ জুলাই জানিয়ে দেবে দেশটির সরকার।
Comments