সাংবাদিকদেরও নতুন অভিজ্ঞতা দিল সাউদাম্পটন টেস্ট

এই টেস্ট কাভার করে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলের সাংবাদিক পল নিউম্যান জানিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
ছবি: টুইটার

বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রেসবক্সগুলোর একটি সাউদাম্পটনের রোজ বৌল বা এইজেস বৌল। মাঠের সঙ্গেই লাগানো পাঁচতারকা হোটেলের ভেতরেই প্রেসবক্স  হওয়ায় সুযোগ সুবিধা তাক লাগানো। তবে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্টে চেনা সেই প্রেসবক্সে বসতে পারেননি সাংবাদিকরা। তাদের জন্য বরাদ্দ হয় আলাদা একটি স্থান। করোনাভাইরাসের থাবা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার সময় সেখানেও মানা হয়েছে কঠোর বিধি নিষেধ। এই টেস্ট কাভার করে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলের সাংবাদিক পল নিউম্যান জানিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।

গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ- আফগানিস্তান ম্যাচ হয়েছিল এই মাঠে। অভিজাত হোটেলের ভেতর দিয়ে ঢুকে প্রায় পাঁচতলা উঁচুর প্রেসবক্সে যেতে হয়েছিল সাংবাদিকদের। প্রেসবক্সের করিডর হোটেলেরও করিডর। বিশাল সেই প্রেসবক্স সুযোগ সুবিধা আর আভিজাত্যে অতুলনীয়।

যে হোটেলের ভেতরে এই প্রেসবক্স, সেই হোটেলেই এবার ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের থাকার ব্যবস্থা। করোনাভাইরাস থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিসিয়াল ছাড়া হোটেলে অন্য কারো প্রবেশাধিকারই রাখা হয়নি। সুতরাং ওই প্রেসবক্স ছিল বন্ধ।

নিউম্যান জানান দর্শকশূন্য মাঠের একটি স্ট্যান্ডে বসার ব্যবস্থা করা হয় তাদের। সেখানেও ছিল কড়াকড়ি,  ‘এর আগে আমি যেসব টেস্ট কাভার করেছি, ওইগুলোর সঙ্গে কোনভাবেই মিলে না এই টেস্ট। এর আগে কখনই আমাকে স্বাস্থ্যসম্পর্কিত প্রশ্নের ফরম পূরণ করতে হয়নি, মাঠে ঢুকবার সময় প্রতিদিন দুবার তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হয়নি। রোজ বৌলের শেন ওয়ার্ন স্ট্যান্ডে আমাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন কেবল ১১ জন লেখক-সাংবাদিক।’

এমনকি সাংবাদিকদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণে রেখেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি),  ‘আমাদের সবার হাতে একটি বিকন ট্র্যাকার দেওয়া হয়। ঠিক করে দেওয়া এলাকার বাইরে যেন আমরা না যাই, সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে ট্র্যাকার দিয়ে। এছাড়া কে কার সংস্পর্শে এসেছে তাও ট্রেসিং করে রেখেছে ইসিবি।’

খাবার গ্রহণের জন্য স্বাভাবিক সময়ের মতো ডাইনিং ছিল। তবে সেখানে একসঙ্গে দুজন বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

নিউম্যান জানান, টেস্ট কাভার করার অনুমোদন পাওয়া সাংবাদিকদের ম্যাচ চলাকালীন গণপরিবহন, রেস্টুরেন্ট ও পাব এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছিল।

মজার এক অভিজ্ঞতার কথাও জানান বর্ষীয়ান সাংবাদিক নিউম্যান। এমনিতে টেস্ট ম্যাচে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও আড্ডা দিতে অনেক ধারাভাষ্যকার, অফিসিয়াল, সাবেক খেলোয়াড়দের আনাগোনা থাকে। কিন্তু এবার সেরকম অতিথি ছিলেন একজনই। তিনি রোজ বৌলের মাঠের নিয়ন্ত্রক হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্লাবের চেয়ারম্যান রড ব্র্যান্সগ্রভ। বেচারা নিজের নামাঙ্কিত প্যাভিলিয়নেই যেতে পারেননি। কারণ তার গতিবিধিও ছিল সীমাবদ্ধ।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago