সেদিনের পর ক্রিকেটের ওজন বেড়েছে, মর্গ্যানের জীবনও বদলে গেছে

বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান মনে করেন সেদিনের পর ক্রিকেট খেলাটার ওজন বেড়েছে ঢের, আর তার জেরে বদলে গেছে মরগ্যানের জীবনও।
england champion
ছবি: রয়টার্স

ঠিক এক বছর আগে অবিশ্বাস্য এক ক্রিকেট ম্যাচের সাক্ষী হয়েছিল বিশ্ব। ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ ফাইনাল যেন ছিল কল্পলোকের কোন ম্যাচ। চূড়ান্ত রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ইংল্যান্ড ট্রফি জেতার ঘটনা ক্রিকেটবিমুখ মানুষকেও টেনে এনেছিল ব্যাট-বলের উত্তাপে। বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড অধিনায়ক  ওয়েন মর্গ্যান মনে করেন সেদিনের পর ক্রিকেট খেলাটার ওজন বেড়েছে ঢের, আর তার জেরে বদলে গেছে মরগ্যানের জীবনও।

১৪ জুলাই ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল টাই হলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। অবিশ্বাস্যভাবে সুপার ওভারও টাই হয়ে যায়। কেবল বাউন্ডারি বেশি মারার ফলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ইংল্যান্ড।

ক্রিকেটের জন্ম ইংল্যান্ডে। সব সংস্করণের বিবর্তনও তাদের হাত ধরে। তবু চূড়ান্ত সাফল্য ছিল এটাই।

ক্রিকেটের জন্মদেশ হলেও ক্রিকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের মানুষের উন্মাদনা উপমহাদেশের মতো নয়। ইংল্যান্ডের রাস্তাঘাটে তাই খোলামেলা ঘোরাফেরা করতে পারেন জাতীয় ক্রিকেটাররা। 

তবে সেই বিশ্বকাপ ফাইনালের পর বদলে গেছে চেনা ছবি। মর্গ্যানই সবচেয়ে বেশি টের পাচ্ছে সেই ঢেউ, ‘আমার মনে হয় সেদিনের পর খেলাটার ওজন অনেকখানি বেড়ে গেছে। এরপর থেকে বাইরে গেলেই লোকে আমাকে দেখে ছুটে আসছে। কেবল দেশেই নয়, যখন ছুটিতে যাই, কিংবা টেনিস ম্যাচ দেখতে গেলেও একই চিত্র।’

লন্ডনে সেদিন উইম্বলডনের ফাইনাল ছিল, অদূরে ছিল ফরমুলা ওয়ান রেস। বিশ্বকাপ ফাইনালের ঝাঁজে সেসব সেদিন আড়ালে পড়ে গিয়েছিল। ফ্রি টু এয়ার চ্যানেলে ৮০ লাখের বেশি মানুষ উপভোগ করেছেন সেই ম্যাচ। কানায় কানায় পূর্ণ মাঠের পাশাপাশি রেস্তুরা, পাব, বার সবই ছিল সেই ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনায়। উৎসবের রেনু লেগেছিল লন্ডনের রাস্তায়। ইংল্যান্ডকে এমন সাফল্য এনে দেওয়ায় রীতিমতো পূজনীয় হয়ে যান আইরিশ মর্গ্যান, ‘মানুষ ট্রফি জিততে দেখতে পছন্দ করে। সেটা ছিল বিশাল এক উৎসবের। সেদিনের পর ক্রিকেটের গুরুত্ব বেড়েছে, আর আমার জীবনই বদলে গেছে। মানুষ এখন আমাকে বেশি চিনে।’

এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই ব্যর্থতার পর গোটা দলের খোলনলচে বদলে ফেলে ইংলিশরা। খেলার ধরন বদলে ফেলে নিজেদের চেনায় ভিন্নভাবে। টানা চার বছরের কঠোর নিষ্ঠা তাদের এনে দিয়েছে চূড়ান্ত ফল। দীর্ঘ এই নিবেদনের কারণেই তৃপ্তিটা বেশি মর্গ্যানের, ‘কোন কিছুর জন্য জীবনে বেশি খাটা খাটুনি করলে, পরে ফল পেলে তৃপ্তিটা বেশি হয়। এটাই মানুষের ধরণ।’

কেবল ইংল্যান্ডেই নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল পুরো বিশ্বেই ক্রিকেট খেলাটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে বলেও মনে করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, ‘নাটকীয় সেই ম্যাচ আসলে ক্রিকেট খেলাটার দারুণ বিজ্ঞাপন ছিল। ফাইনালটা আসলে ক্রিকেটের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কেবল ক্রিকেটই নয় ব্রিটিশ ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা দিনগুলোর একটি হয়ে উঠেছে তা। এভাবেই থাকবে আরও অনেক অনেক দিন।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago