দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবি বেআইনি: যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ চীন সাগরের ‘বেশিরভাগ সম্পদ’ এর উপর চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিএনএন জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক দীর্ঘ বিবৃতিতে দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশেরই সম্পদের উপর বেইজিংয়ের দাবি ‘সম্পূর্ণ বেআইনি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
সোমবার, পম্পেও বলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ পেতে বেইজিং যে ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে সেটিও বেআইনি। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং তার সামুদ্রিক সাম্রাজ্য বানাতে চাইলে বিশ্ব তা মেনে নেবে না। যুক্তরাষ্ট্র তার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের মিত্রদের পাশে দাঁড়াবে, সামুদ্রিক সম্পদের উপর তাদের যে সার্বভৌম অধিকার তা সংরক্ষণ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পাশে থাকবে।’
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন বর্গমাইলকে নিজেদের সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে দাবি করে বেইজিং। গত কয়েক বছর ধরে সেখানকার কয়েকটি দ্বীপে সামরিক ঘাঁটিও তৈরি করেছে চীন।
ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই এবং স্ব-শাসিত তাইওয়ানসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও দ্বীপপুঞ্জও দক্ষিণ চীন সাগরের কয়েকটি নির্দিষ্ট দ্বীপপুঞ্জ ও সমুদ্র অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে। গত কয়েক বছর ধরে ওই অঞ্চলে অন্যান্য দেশের মাছ ধরা ও খনিজ অনুসন্ধানের মতো বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে বেইজিং। বেইজিংয়ের দাবি, ওই অঞ্চলটি কয়েক শতাব্দী ধরে চীনের অন্তর্গত।
মঙ্গলবার, পম্পেওর ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বেইজিং। দক্ষিণ চীন সাগরকে চীনের ‘সামুদ্রিক সাম্রাজ্যে’ রূপান্তরিত করার কোনও উদ্দেশ্য নেই বলে জানিয়েছে বেইজিং।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, মঙ্গলবার, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর মন্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, বেইজিং ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ওয়াশিংটনের যে ‘মতবিরোধের বীজ বপনে’র প্রচেষ্টা তা ব্যর্থ হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘চীন সামুদ্রিক সাম্রাজ্য বানাতে চায় না। চীন তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে আচরণ করে ও সর্বাধিক সংযম বজায় রাখে।’
Comments