বিশুদ্ধ পানির জন্য বানভাসি মানুষের ‘হাহাকার’

তাহিরপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে গেছে নলকূপ। ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পানি দেওয়ার চেষ্টা করলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এজন্য হাওড়ের বিভিন্ন এলাকায় পানির চাহিদা প্রকট আকারে ধারণ করেছে। বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছেন বানভাসি মানুষ।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান জানান, সুনামগঞ্জের পুরাতন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, আজ বুধবার যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে। ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আনুপাতিক হারে কমেছে। তাই সুনামগঞ্জের বন্যার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে।

সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকার জাহেদ মিয়া বলেন, ‘আমরা শহরে থেকেই খাবার পানি পাচ্ছি না। আর আমার ছোট ভাই থাকে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশে। তিনিসহ পরিবারের ছয় জন খাবার পানির অভাবে আছে। তিনি কৃষক। তাই পানি কিনে খাওয়ার সামর্থ্যও তার নেই।’

সুনামগঞ্জ শহরে বিশুদ্ধ পানি দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল। ছবি: সংগৃহীত

তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ইকরামপুর গ্রামের তানভীর আহমেদ বলেন, ‘গত ছয় দিন থেকে বন্যার চার দিনই প্রকট পানির অভাবে ছিলাম। এখনো আছি। টাঙ্গুয়ার হাওরের পানি গরম করে খেয়েছিলাম দুদিন। এজন্য এই পানি খেয়ে আমার ছোট ছেলের ডায়রিয়া ভাব ছিল। এখন জ্বালানি কাঠও শেষ হয়ে গেছে। সরকারি কোনো লোকজনও আসছে না এলাকাতে। বড় অসহায় মনে হচ্ছে।’

সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে ১০ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। নলকূপ পরিষ্কার করার জন্য ছয় শ কেজি ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়েছে। দুইটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। ১০টি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন উপজেলায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভালো রাখার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থাপনের জন্য তিন শ ল্যাট্রিন দেওয়া হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

17h ago