এক ল্যাবে পজিটিভ আরেক ল্যাবে নেগেটিভ, একই ব্যক্তির একই দিনের করোনা পরীক্ষার ফল

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

একই দিনে দুই জায়গায় করোনা পরীক্ষা করিয়ে দুই ধরনের ফলাফল পেয়েছেন তারেক আহমেদ (৪৪)। দুই জায়গায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে একটির ফল করোনা পজিটিভ ও অন্যটির ফল করোনা নেগেটিভ এসেছে।

গত ১ জুলাই করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হন তারেক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এরপরের ১৪ দিন শারীরিক অবস্থা ভালো হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করি। পরে আবার পরীক্ষা করাই। প্রথমে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পরীক্ষা করাই। একই দিন আমি ব্র্যাকের একটি বুথের মাধ্যমে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই।’

বিএসএমএমইউ থেকে পাওয়া ফলাফলে তার করোনা নেগেটিভ আসলেও আইইডিসিআরের ফলাফল বলছে তিনি করোনা পজিটিভ।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তার কোনো উপসর্গ ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেন দুটি ভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা করিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক আহমেদ জানান, যে পেট্রোলিয়াম সংস্থায় তিনি কাজ করেন, সেখান থেকে তাকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা ফলস পজিটিভ বা ফলস নেগেটিভ ফলাফল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ মাসের শুরুতে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় আরটি-পিসিআরের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের পরিচালক ডা. এম শওকত হাসান।

তিনি বলেন, ‘আরটি-পিসিআরের সীমাবদ্ধতা এটাই যে, নমুনা সংগ্রহ, নমুনার ধরণ, পরীক্ষার জন্য যে ধরণের মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর এর সংবেদনশীলতা নির্ভর করে।’

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডা. বিজন কুমার শীল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, ‘কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর দ্বিতীয়বার আক্রান্তের সম্ভাবনা নেই। তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ আসতে পারে। কারণ আরটি-পিসিআর মেশিন নমুনায় মৃত থাকা মৃত ভাইরাসকে জীবিত হিসেবে শনাক্ত করে পজিটিভ দেখাতে পারে। এর অর্থ এই নয় যে তিনি পজিটিভ। আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় সঠিক ফলের জন্যে নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া অত্যন্ত সংবেদনশীল।’

Comments

The Daily Star  | English

11 years of N’ganj 7-murder: Hope fading as families still await justice

With the case still pending with Appellate Division, the victims' families continue to wait for the execution of the culprits' punishment

1h ago