লালমনিরহাটে তীব্র হচ্ছে তিস্তা-ধরলার ভাঙন

Tista_Erosion_17Jul2020.jpg
বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা গ্রামে তিস্তার ভাঙনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, আবাদি জমি। ছবি: স্টার

লালমনিরহাটের প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলার পাড়ে তীব্র হচ্ছে ভাঙন। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে দুই শতাধিক বসতভিটা, কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি ও ফলের বাগান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন অব্যাহত থাকায় অনেকে স্বেচ্ছায় বসতভিটা ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু রাস্তা ও বাঁধের ওপর।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তাপাড়ে চর গোকুন্ডা গ্রামে বাস করেন সোলেমান মন্ডল। তার বয়স ৬৪ বছর। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বসতভিটা-আবাদি জমি সব তিস্তার গর্ভে চলে গেছে। আপাতত তিস্তার চরে এক আত্মীয়ের জমিতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করবো।’

আদিতমারী উপজেলার তিস্তাপাড়ে কুটিরপাড় এলাকার মনসের উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘বানের পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বসতভিটা, আবাদি জমি সব হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবারসহ সরকারি রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি।’

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কিছু কিছু স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আপাতত জিও-ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago