লা লিগার ইতিহাসে প্রথমবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে রিয়ালের
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও শহর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে দুই পর্ব মিলিয়ে মোট চার ম্যাচ খেলে একটিতেও হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ, হজম করেনি কোনো গোল। স্প্যানিশ লা লিগার সুদীর্ঘ ৮৯ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার এই অনবদ্য অভিজ্ঞতার স্বাদ নিয়েছে দলটি।
চলমান ২০১৯-২০ মৌসুমে অ্যাতলেতিকোর সঙ্গে প্রথম দেখায় গোলশূন্য ড্র করেছিল রিয়াল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গেল সেপ্টেম্বরে। ফিরতি পর্বে গেল ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জিদানের শিষ্যরা জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
লা লিগার আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন বার্সাকে গেল ডিসেম্বরে ন্যু ক্যাম্পে রুখে দিয়েছিল রিয়াল। ওই ম্যাচটিও শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে। এরপর গেল মার্চে নিজেদের মাঠে লিওনেল মেসিদের ২-০ গোলে হারিয়েছিল স্পেনের সফলতম ক্লাবটি। সেদিন লক্ষ্যভেদ করেছিলেন ভিনিসিয়ুস ও মারিয়ানো দিয়াজ।
বৃহস্পতিবার রাতে করিম বেনজেমার জোড়া গোলে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড ৩৪তম বারের মতো লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল। গেল বছর মার্চে দ্বিতীয় দফায় লস ব্লাঙ্কোসদের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি জিনেদিন জিদানের দ্বিতীয় শিরোপা। সবমিলিয়ে ক্লাবটিকে ১১ বার সেরার মুকুট জিতিয়েছেন তিনি।
বিরল একটি ক্লাবেও নাম লিখিয়েছেন কিংবদন্তি সাবেক ফরাসি ফুটবলার জিদান। ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় কোচ হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে রিয়ালকে লা লিগার শিরোপা জেতানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। তার অধীনে ২০১৬-১৭ মৌসুমেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। সবার আগে এই নজির স্থাপন করেছিলেন লুইস মোলোনি (১৯৭৭-৭৮, ১৮৭৮-৭৯ ও ১৯৮৫-৮৬)। এরপর ফাবিও ক্যাপেলোও একই অর্জনের ভাগীদার হন (১৯৯৬-৯৭ ও ২০০৬-০৭)।
ভিয়ারিয়ালকে হারানোর পর ৩৭ ম্যাচ শেষে রিয়ালের অর্জন ৮৬ পয়েন্ট। একই সময়ে শুরু হওয়া রাতের আরেক ম্যাচে বার্সেলোনা নিজেদের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হেরে গেছে ওসাসুনার কাছে। ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
Comments