প্রাণীদেহেও করোনা, স্পেনের খামারে প্রায় ১ লাখ মিংক হত্যার সিদ্ধান্ত

স্পেনের একটি মিংক খামারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ওই খামারের প্রায় এক লাখ মিংক হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইউরোপের কিছু দেশে বেজির মতো এক ধরনের প্রাণী মিংক হিসেবে পরিচিত।
Mink-1.jpg
ইউরোপের কিছু দেশে বেজির মতো এক ধরনের প্রাণী মিংক হিসেবে পরিচিত। ছবি: স্টার

স্পেনের একটি মিংক খামারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ওই খামারের প্রায় এক লাখ মিংক হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইউরোপের কিছু দেশে বেজির মতো এক ধরনের প্রাণী মিংক হিসেবে পরিচিত।

সিএনএন জানিয়েছে, মূলত পশম সংগ্রহের জন্যই ওই খামারে মিংক পালন করা হতো।

বৃহস্পতিবার স্পেনের আরাগন অঞ্চলের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও পরিবেশ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ওই খামারের সাত জন শ্রমিকের করোনা শনাক্তের পর প্রাণীগুলোর শরীরেও করোনাভাইরাস পাওয়া এসেছে। এরপরই খামারের ৯২ হাজার ৭০০ মিংক হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

গত ২২ মে পূর্ব স্পেনের তেরুয়েলের ওই খামারটি সতর্কতা হিসেবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পরীক্ষায় খামারের প্রাণীগুলোর দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি।

পরবর্তীতে ৭ জুলাই ওই খামারের ৯০টি প্রাণীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ৭৮টির দেহে করোনা শনাক্ত হয়, অর্থাৎ নমুনার প্রায় ৮৭ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত।

বিবৃতিতে প্রশাসন বলছে, ভাইরাসটি মানুষ থেকে প্রাণীতে কিংবা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ানোর কোনো উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রাণীগুলোর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিক আচরণও লক্ষ্য করা যায়নি। তাদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বাড়েনি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই খামারের সব মিংক হত্যা করা হবে।

এর আগে, গত মে মাসে নেদারল্যান্ডসের মিংক ফার্মগুলোতেও বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেসময় ডাচ প্রশাসন জানায়, আক্রান্ত মিংক থেকে মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ হতে পারে।

এই পরীক্ষার ফলে দেশে দুই ডজন খামারে দশ মিলিয়ন মিংক কমে গেছে বলে জানিয়েছে প্রাণী কল্যাণ সংস্থা হিউমেন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ভাইরাসটির উত্স সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও এর উদ্ভব বাদুড় থেকেই হয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত। ভাইরাসটি কীভাবে প্রাণী থেকে অন্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাণী কী ভূমিকা পালন করেছে তা এখনো অস্পষ্ট। এটি জানতে হলে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago