কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট

Kurigram_Razibpur_Flood.jpg
কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে বাড়ি-ঘরে এখনো গলা পানি। ছবি: স্টার

ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলার পানি বেড়ে যাওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নয়টি উপজেলার ৫৬টি ইউনিয়নের চার শটি গ্রামের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপরে এবং দুধকুমার নদের পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাটিতে পানি না নামায় এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।’

চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের চর শংকর মাধবপুরে বাস করেন সালেহা বেগম। তিনি বলেন, ‘আট দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছি। কেউ খোঁজ নিচ্ছে না। খাবার আর পানি বড় সমস্যা। নলকূপগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।’

চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের হেলিপোর্ট এলাকার আহেলা বেওয়া (৬৫) বলেন, বানের পানিতে বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। তার মতো শতাধিক পরিবার এখানে আশ্রয় নিয়েছে। শৌচাগার না থাকায় নারীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

ওই এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নলকূপ ও টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। খাবারের ব্যবস্থা হলেও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হয়েছে।’

চিলমারী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী উত্তম কুমার সিংহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বন্যা দুর্গত এলাকায় অস্থায়ী টয়লেট ও নলকূপ স্থাপন করে দিচ্ছে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রায়হান শাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বন্যার্তদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলো তিনি পরিদর্শন করছেন। সেখানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য নলকূপ স্থাপন ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

2h ago