শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস ‘প্রতিবন্ধকতা’, ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজার থেকে সহসাই ফ্লোর প্রাইস সরানো হচ্ছে না, এমন বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারের স্বাধীন লেনদেনের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস একটি প্রতিবন্ধকতা, এটি আমরাও বুঝি। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলে শিগগির ব্যবস্থা নেব।’
আজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর আয়োজনে ‘শেয়ারবাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব ও পুনরুদ্ধারের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের পুঁজিবাজারের সূচক টানা পড়তে থাকায় গত ১৯ মার্চ বিএসইসি প্রত্যেক শেয়ারের জন্য পাঁচ দিনের গড় শেয়ার মূল্য দিয়ে একটি ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়, যেন সূচক পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়।
শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে নতুন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বেশিরভাগ বাজার বিশ্লেষক এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে কমিশন তা তুলে দেয়নি।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একাংশের দাবির প্রেক্ষিতে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান ফ্লোর প্রাইস সহসাই তোলা হবে না বলেও উল্লেখ করেন।
আজকের সেমিনারে বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ভালো খবর হচ্ছে আমরা যোগদানের সময় বাজারের লেনদেন ছিল গড়ে ৫০ কোটি টাকার মতো যা এখন ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
সেমিনারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসাইন বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ারবাজারের বড় ক্ষতি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা এটা তুলে দেওয়ার কথা বললেও অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী না বুঝে এটা রাখার কথা বলছেন। অথচ এই ফ্লোর প্রাইসের কারণে বাজারে তারল্য সংকট চলছে, পাশাপাশি বাজারের স্টেক হোল্ডাররা ক্ষতির মুখে পড়ছেন, বলেন হুসাইন।
তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কখনো সূচকের ওঠানামা নির্ধারণ করতে পারে না, এটা তালিকাভূক্ত কোম্পানির পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, আইসিবির এমডি আবুল হোসেন, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি নিহাদ কবির এবং ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
Comments