চট্টগ্রামে কিশোরের ‘আত্মহত্যা’: অভিযুক্ত এসআইকে বরখাস্তের সুপারিশ

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সাদা পোশাকে অভিযানের সময় কিশোর মারুফের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই হেলালকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি। সেই সঙ্গে অধস্তন অফিসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ডবল মুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ দাশকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সাদা পোশাকে অভিযানের সময় কিশোর মারুফের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই হেলালকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি। সেই সঙ্গে অধস্তন অফিসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ডবল মুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ দাশকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে সিএমপি কমিশনার মা. মাহবুবর রহমানের কাছে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়। তিন সদস্য কমিটির প্রধান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশর উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

সিএমপির ডিসি (ডিবি-পশ্চিম) মনজুর মোর্শেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তদন্তে এসআই হেলালের বিরুদ্ধ উঠা অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিক ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ দাশকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।’

সিএমপির একটি সূত্র জানায়, পুরো তদন্তে অভিযুক্তসহ মোট ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এদের ১৫ জন পুলিশ সদস্য। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চারটি বিষয়ে এসআই হেলালে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার সময় তিনি সাদা পোশাকে ছিলেন। ঘটনার সময় অন্য কোনো পুলিশ সদস্যও তার সঙ্গে ছিলেন না। থানায় জিডির মাধ্যমে কোনো নোট দেননি হেলাল। পরিদর্শক (তদন্ত) বা অন্য কোনো সিনিয়র অফিসারকে অভিযানের আগে অবহিত করেননি তিনি।

ঘটনার সময় সালমানের মা ও বোনের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়ে এসআই হেলাল অপেশাদার আচরণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে সাদা পোশাকে আগ্রাবাদের বড় মসজিদ লেনে সোর্সসহ গিয়েছিলেন এসআই হেলাল। ১৬ বছর বয়সী সালমান ইসলাম মারুফ চোর সন্দেহে এক সোর্সকে সেখানে মারধোর করলে মারুফকে আটকের চেষ্টা চালান এসআই হেলাল। মারুফকে নিয়ে যাবার সময় তার মা ও বোনের সঙ্গে এস আই হেলালের ধস্তাধস্তি হয়। মারুফের বোন এক পর্যায়ে জ্ঞান হারালে তাকে ও তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর চাচার ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় মারুফের।

ঘটনায় এসআই হেলালকে প্রত্যাহার করে ডিসি পশ্চিমের আদেশে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই কমিটি স্থগিত করে শুক্রবার নতুন করে তিন সদস্যের কমিটি করে সিএমপি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago