দুর্দান্ত জয়ে সিরিজে ফিরল ইংল্যান্ড
পুরো একদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ফল বের করা ছিল দুরূহ। কিন্তু ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের উপর ঝাঁজ দেখিয়ে সেই কাজটাই করে দেখালেন ইংল্যান্ডের পেসাররা। রোমাঞ্চকর শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাবু করে দারুণভাবে সিরিজে ফিরেছে স্বাগতিকরা।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড টার্ফোডে দ্বিতীয় টেস্টে ১১৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচ সিরিজে তাই এখন এসেছে ১-১ সমতা।
আগের দিনের ২ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে নেমেছিল ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই রান তরতর করে বেড়েছে। ম্যাচ জিততে মরিয়া ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে ১২৯ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দেয়।
৩১২ রানের লক্ষ্য দিয়ে লাঞ্চের আগেই স্টুয়ার্ট ব্রডের জোড়া আঘাত আর ক্রিস ওকসের তোপে বিপদে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫ রানেই তারা খুইয়ে বসে ৩ উইকেট। লাঞ্চ থেকে ফিরেই বিদায় নেন রোস্টন চেজও।
ওই ধাক্কা সামলালেও ইংলিশ পেসারদের আগ্রাসনের নিচে নড়বড়ে অবস্থা কাটেনি ক্যারিবিয়ানদের। শারমাহ ব্রোকস আর জারমেইন ব্ল্যাকউড তবু দিচ্ছিলেন আস্থা। পঞ্চম উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে শতরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ বাঁচানোর আশাও পোক্ত হচ্ছিল। কিন্তু বেন স্টোকসের কারণে তা আর এগুতে পারেনি। ব্ল্যাকউডকে নিজের বলে ক্যাচ বানিয়ে আরও একবার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অবদান রাখেন এই অলরাউন্ডার। খানিক পর দ্রুত ফিরে যান শেন ডওরিচও।
অধিনায়ক জেসন হোল্ডার টেল এন্ডারদের নিয়ে পার করতে পারতেন কঠিন পথ। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কাল হয়েছে তার। অফ স্পিনার ডম বেসের বল পড়তে না পেরে স্টাম্প খুয়ান তিনি। তখনই মূলত ম্যাচের ইতি।
বাকি লম্বা সময় টিকে থাকার সামর্থ্য ছিল না ক্যারিবিয়ানদের। ১৯৮ রানেই শেষ হয়েছে হোল্ডারদের দ্বিতীয় ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৪৬৯/৯ (ইনিংস ঘোষণা)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ২৮৭
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯ ওভারে ১২৯/৩ (ইনিংস ঘোষণা) (আগের দিন ৮ ওভার ৩৭/২) (স্টোকস ৭৮*, বাটলার ০, ক্রলি ১০, রুট ২২, পপ ১২*; রোচ ২/৩৭, গ্যাব্রিয়েল ০/৪৩, হোল্ডার ০/৩৩, জোসেফ ০/১৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ৭০.১ ওভারে ১৯৮ (লক্ষ্য ৩১২) (ব্র্যাথওয়েট ১২, ক্যাম্পবেল ৪, হোপ ৭, ব্রোকস ৬২, চেজ ৬, ব্ল্যাকউড ৫৫, ডওরিচ ০, হোল্ডার ৩৫, রোচ ৫, জোসেফ ৯, গ্যাব্রিয়েল ০*; ব্রড ৩/৪২ , ওকস ২/৩৪, কারান ১/৩০ , বেস ২/৫৯ , স্টোকস ২/৩০, রুট ০/১ )
ফল: ইংল্যান্ড ১১৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা।
Comments