ট্রাম্পের প্রথম করোনা ব্রিফিংয়ে ‘মিথ্যাচার’

Trump corona briefing
হোয়াইট হাউজে প্রথম করোনা ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২১ জুলাই ২০২০। ছবি: রয়টার্স

গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের পর প্রথম করোনা ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সঠিক তথ্য না দিয়ে বরং ‘মিথ্যাচার’ করেছেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।

আজ বুধবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প করোনাভাইরাস নিয়ে তার আগের ভুল অবস্থানকেই তুলে ধরেছেন।

এতে বলা হয়, ট্রাম্প তার লিখিত বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ ‘উদ্বেগজনক’ বললেও তিনি এর আগে তা অস্বীকার করেছিলেন। গত জুনে তিনি বলেছিলেন, ‘ভাইরাস নির্মূল’ হয়ে গেছে।

কিন্তু, তার এই ‘মিথ্যাচার’ থেমে থাকেনি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প বলেছেন— অন্যান্য যে কোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বেশি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

জনসংখ্যার বিবেচনায় অনেক বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি করোনা পরীক্ষা করেছে— এমন বাস্তবতা তিনি এড়িয়ে গেছেন বলেও সিএনএন প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।

প্রতিবেদন মতে, ট্রাম্প ব্রিফিংয়ে দাবি করেছেন— ভাইরাসটি ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাবে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনজীবনে খুব বেশি ক্ষতি করার আগে ভাইরাসটি ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাবে।

ভাইরাসটি ‘নির্মূল’ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, ট্রাম্প তার ‘মিথ্যা দাবিগুলো’ পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন যে তার পূর্ববর্তী সরকারের কাছ থেকে তিনি ‘শূন্য বাটি’ পেয়েছেন। তিনি চীন ও ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। রাজ্যের গভর্নরদের করোনা মোকাবিলায় ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প আরও একটি মিথ্যা দাবি করে বলেছেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘স্বাস্থ্য কর্মসূচি’ তিনিই অনুমোদন দিয়েছেন। অন্যরা কয়েক দশক ধরে চেষ্টা করেও তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

পছন্দ হোক, না হোক আমেরিকানদের মাস্ক পরা উচিত

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমবারের মতো করোনা ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি ‘ভালো হওয়ার আগে আরও খারাপের দিকে’ মোড় নিতে পারে।

ট্রাম্প বলেন, ‘সবাইকে নির্দেশ দিচ্ছি, করোনা মোকাবিলায় যদি সামাজিক দূরত্ব মেনা চলা সম্ভব নাও হয় তাহলে অন্তত মাস্ক পরুন। আপনার পছন্দ হোক বা না হোক এর একটা প্রভাব আছে।’

‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পছন্দ করি না। কিন্তু, পরিস্থিতি সে দিকেই যাচ্ছে।’

জনসমুখে ও লিফটে তিনি মাস্ক পরছেন এবং মাস্ক পরার অভ্যাস তৈরি করছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গেই তা পরছি।’

অথচ গত কয়েক মাস ট্রাম্প মাস্কবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Wrap up polls preparations by December

Chief Adviser Muhammad Yunus yesterday instructed all relevant authorities to complete preparations by December for the upcoming national election.

1h ago