হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করতে বেইজিংকে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আগামী শুক্রবারের মধ্যে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ওই কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশকে ‘রাজনৈতিক উস্কানি’ হিসেবে মন্তব্য করেছে বেইজিং।
বিবিসি জানায়, হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট ভবনের আঙ্গিনায় কিছু নথি পুড়িয়ে ফেলার একটি ভিডিও প্রকাশের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এমন নির্দেশনা এলো।
বুধবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগ্যান ওর্টাগাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমেরিকার মেধাস্বত্ব ও ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার জন্য আমরা হিউস্টনের পিআরসি [গণপ্রজাতন্ত্রী চীন] কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও জনগণের ওপর চীনের হুমকি যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করবে না। ঠিক যেভাবে আমরা চীনের অন্যায় বাণিজ্য অনুশীলন, আমেরিকার চাকরি চুরি ও অন্যান্য গুরুতর আচরণ সহ্য করিনি।’
এদিকে এমন সিদ্ধান্তকে ‘নজিরবিহীন স্পর্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে চীন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয় উল্লেখ করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানান, ওয়াশিংটন ‘অযৌক্তিক আক্রমণ করে চীনের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে’। কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তা না হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় চীনে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করা হবে কিনা এ বিষয়ে একটি জরিপ চালাতে শুরু করেছে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির শুরু থেকেই একে অপরকে দুষছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। উহান থেকে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য সরাসরি বেইজিংকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। পরবর্তীতে হংকং জাতীয় নিরাপত্তা আইন, দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য, বাণিজ্য চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধে জড়ায় মার্কিন প্রশাসন।
মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাস টিকা গবেষণার তথ্য চুরির জন্য হ্যাকিং করার চেষ্টা করছে চীন। হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকায় দুই চীনা নাগরিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
Comments