বর্ণবাদের শিকার হওয়া আর্চারের সমর্থন প্রয়োজন: হোল্ডার

jason holder
ছবি: এএফপি

কোভিড-১৯ বিধি ভঙ্গ করার পর বর্ণবাদের শিকার হওয়া জোফরা আর্চারকে সমর্থন দিতে সবার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। বিশ্ব ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের এই প্রতিভাবান ফাস্ট বোলারের মতো খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইলে হোল্ডার নিজের ​​কলামে লিখেছেন, ‘গেল শীতে (আর্চার) নিউজিল্যান্ডে জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন এবং এবার একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এটা যে কাউকে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক আঘাত দিতে পারে।’

গেল সপ্তাহে সাউথ্যাম্পটনে থেকে ম্যানচেস্টার যাওয়ার পথে জৈব-সুরক্ষা বিধি অমান্য করে হোভে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন আর্চার। তাই গেল বৃহস্পতিবার উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। সেদিন থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হোটেলে নিজের কক্ষে পাঁচ দিন সেলফ-আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। জরিমানার পাশাপাশি লিখিতভাবে সতর্কও করা হয় তাকে। এরপর দুই দফা কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসায় দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরেছেন তিনি।

কিন্তু সেলফ-আইসোলেশনে থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আর্চার। ২৫ বছর বয়সী এই তারকা ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছে বিস্তারিত জানিয়েছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান করেছেন।

তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে একই সংবাদপত্রে আগের দিন নিজের কলামে বিশ্বকাপজয়ী আর্চার লিখেছিলেন, পুরো ঘটনায় তাকে ঘিরে যে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে তাতে ভীষণ অস্বস্তি বোধ করছেন তিনি এবং ভুল শুধরে মাঠে ফেরার অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে তার জন্য।

তাই স্বদেশি (বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া) আর্চারের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন হোল্ডার, ‘আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের সবার তার পেছনে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর উপযুক্ত সময় এবং তাকে যতটা সম্ভব সমর্থন যোগাতে হবে।’

‘আমাদের জাতিগত বৈষম্য ও নির্যাতন নির্মূল করতে হবে। আর দল হিসেবে আমরা আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাকে যতটা পারি সাহায্য করব।… বিশ্ব ক্রিকেট আর্চারের মতো খেলোয়াড়দের মাঠে দেখতে চায়। কিন্তু এখন সে যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তা এই খেলাটির জন্য মোটেই ইতিবাচক কিছু নয়।’

বর্ণবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে চলতি সিরিজে ইংল্যান্ড ও উইন্ডিজ দল তাদের জার্সিতে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ লোগো ব্যবহার করছে। ক্যারিবিয়ান দলনেতার মতে, জাতিগত নির্যাতন দূর করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন, ‘যখনই আমরা ফোন হাতে তুলে নিই, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মুখোমুখি হই। আমি মনে করি, বিশেষ করে যারা টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম পরিচালনা করেন, যা ঘটছে সেসবের উপর তাদের আরও জোরালো নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার।’

‘চাইলেই যেন কেউ অন্য কারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজির হয়ে একটি আপত্তিকর মন্তব্য করে পার পেয়ে না যায়।’

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago