আখাউড়া দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য গেল ভারতে

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলকাতা বন্দর থেকে জাহাজে করে আনা এসব পণ্য আজ চারটি ট্রেইলারে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলকাতা বন্দর থেকে জাহাজে করে আনা এসব পণ্য আজ চারটি ট্রেইলারে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থলবন্দরটির শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এই পণ্য নিতে প্রয়োজনীয় মাশুল আদায় ও কাগজপত্র যাচাই করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।’

আগরতলা কাস্টমসের সুপারিটেনডেন্ট জয়দীপ মুখার্জি সীমান্তে দাঁড়িয়ে উভয় দেশের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সকাল নয়টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আসা চারটি পণ্যবাহী ট্রেইলার আনুষ্ঠানিকভাবে আগরতলা বন্দরে গ্রহণ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।’

সড়কপথে এই পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চারটি ট্রেইলারের মধ্যে দুটিতে ছিল ৪৯ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন রড (টিএমটি বার), যা ত্রিপুরার জিরানিয়ার এসএম করপোরেশনের পণ্য। বাকি দুই ট্রেইলারে ছিল ৫৩ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন ডাল, যা আসাম রাজ্যের গৌহাটির ইটিসি অ্যাগ্রো প্রসেসিং ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের।’

তিনি জানান, বাংলাদেশের ‘ম্যাংগো লাইন লিমিটেড’ নামের একটি শিপিং এজেন্সির মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্যগুলো পাঠিয়েছে ‘ডার্সেল লজিস্টিক লিমিটেড’ নামের অপর একটি প্রতিষ্ঠান।

আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৪ জুলাই কলকাতা বন্দর থেকে রওনা হওয়া ‘এমভি সেঁজুতি’ নামের জাহাজটি গত ২১ জুলাই দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে পৌঁছায়। পণ্য খালাসের পর বুধবার ভোররাতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রেইলারগুলো রওনা হয়ে একই দিন বিকেল সাড়ে চারটায় আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।’

স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, ডালের চালানে ভারত মাশুল হিসেবে বাংলাদেশকে দিয়েছে ২১ হাজার ৫৭৫ টাকা ও টিএমটি বার (রড) নিতে দিয়েছে ২০ হাজার ৪৩১ টাকা।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর থেকে গত চার বছরে এই পথে ১৭টি চালান ভারতে গেছে। সেই বছরের জুনে মাশুলের বিনিময়ে ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। ওই মাসেই কলকাতা থেকে নৌপথে প্রথমে আশুগঞ্জ নৌবন্দর, এরপর সড়কপথে আখাউড়া হয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় যায় প্রথম চালান।

এরপর ২০১৮ সালে আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে মোট পাঁচটি চালান ভারতে যায়। এর সবকটিতেই ছিল ত্রিপুরায় নতুন নির্মিত রেলপথের স্লিপার ও পাথর। এর বাইরে নেওয়া হয়েছে ইস্পাত, চাল ও ভোজ্য তেল।

এর আগে বিনা মাশুলে ২০১১ সালে আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মালামাল পরিবহন করে ভারত। এসব ভারি মালামাল নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনটি উপজেলায় ৩৬টি সেতু ও কালভার্টের পাশ দিয়ে ডাইভারশন সড়ক নির্মাণ করেছিল ভারত।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে আসাম ও ত্রিপুরায় যাচ্ছে ভারতীয় পণ্য

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago