মাঝ নদীতে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষ, রুট পারমিট স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী টিপল ডেক যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১০ ও এমভি মানামির রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কতৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটি’র যুগ্ম পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার।

বৃহস্পতিবার ভোরে মাঝ নদীতে লঞ্চ দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চ দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার তদন্তের জন্য বন্দর, শিপিং, প্রশাসন, নদী পুলিশের কর্মকর্তাসহ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এমভি সুন্দরবন-১০ এর মাঝের অংশ এবং এমভি মানামির পিছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে লঞ্চে থাকা স্টাফরা জানিয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র সামুদ্রিক পরিবহণ অধিদফতরের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জরিপ বিভাগের প্রধান আবু হেলাল সিদ্দিকী বলেন, ‘তাদের রুটের অনুমতি স্থগিত করায় উভয়ে অবিলম্বে উভয়ের দাবীকৃত ক্ষতিপূরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে পারবে। এ ছাড়া, লঞ্চ দুটিকে নতুন করে ফিটনেস ছাড়পত্র নিতে বলা হয়েছে।’

মজিবর রহমান, মাস্টার (ক্যাপ্টেন) এমভি সুন্দরবন-১০ বলেন, ‘বরিশালের উদ্দেশ্যে ঢাকা নদী বন্দর ছেড়ে যাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সকাল আড়াইটার দিকে আমার লঞ্চটি ইলিশা নদীতে পৌঁছে। পানির গভীরতা কম হওয়ায় লঞ্চটি পয়েন্টটি অতিক্রম করার জন্য ধীরে ধীরে চলছিল এবং একই পথের আর একটি লঞ্চ এমভি মানামি দ্রুতগতিতে ইলিশা নদীর লাল বয়া পয়েন্টে ওয়াটার শোলের নিচে আটকে গিয়ে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। এমন সময় এটি এমভি সুন্দরবন-১০ এর বাম পাশের মাঝের অংশটিকে আঘাত করে এতে লঞ্চের মাঝের অংশটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এমভি মানামির পিছনের দিকটিও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

এমভি মানামির মাস্টার আসাদুজ্জামান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমার জাহাজ ব্যাক গিয়ারে চালানোর আগে ভিসিএফ চ্যানেল (ওয়ারলেস) থেকে এমভি সুন্দরবন-১০ এর মাস্টারকে অবহিত করেছি। এমভি সুন্দরবন-১০ এর মাস্টার সেই সংকেত এবং বার্তাটিকে উপেক্ষা করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

BNP hails AL ban, urges speedy trials

Fakhrul seeks election roadmap, citing public frustration over the lack of democratic process

37m ago