এবার মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিলো চীন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করতে বেইজিংকে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার নিজেদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংদুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে চীন।
চেংডুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করতে বেইজিংকে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার নিজেদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংদুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে চীন।

আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক হিউস্টনের চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশনার পরেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চেংদুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশনা দিলো চীন।

চীন বলছে, মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশনাটি ‘যথার্থ জবাব’। এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বিনা কারণে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চীনের দেওয়া এই নির্দেশনার মাধ্যমে সেটির ন্যায়সঙ্গত ও যথার্থ জবাব দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, চীন কখনোই তা দেখতে চায় না। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী।

চেংদুতে অবস্থিত এই মার্কিন কনস্যুলেটটি ১৯৮৫ সালে স্থপিত হয়েছে। বর্তমানে সেখানে দুই শর বেশি কর্মী কাজ করছেন।

এর আগে, গত ২২ জুলাই হিউস্টনে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে সময় দেওয়া বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগ্যান ওর্টাগাস বলেছিলেন, ‘আমেরিকার মেধাস্বত্ব ও ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার জন্য আমরা হিউস্টনের পিআরসি (গণপ্রজাতন্ত্রী চীন) কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও জনগণের ওপর চীনের হুমকি যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করবে না। ঠিক যেভাবে আমরা চীনের অন্যায় বাণিজ্য অনুশীলন, আমেরিকার চাকরি চুরি ও অন্যান্য গুরুতর আচরণ সহ্য করিনি।’

জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তকে ‘নজিরবিহীন স্পর্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করে এটিকে ‘রাজনৈতিক উস্কানি’ বলে মন্তব্য করেছিল চীন।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির শুরু থেকেই একে অপরকে দুষছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। উহান থেকে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য সরাসরি বেইজিংকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। পরবর্তীতে হংকং জাতীয় নিরাপত্তা আইন, দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য, বাণিজ্য চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধে জড়ায় মার্কিন প্রশাসন।

আরও পড়ুন:

হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago