অবশেষে ভিয়েতনামে আশ্রয় পেলেন ১৭ বাংলাদেশি

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে খোলা আকাশের নীচে চার দিন কাটানোর পর অবশেষে ১৭ বাংলাদেশিকে একটি হোটেলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
hanoi.jpg
বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে খোলা আকাশের নীচে চার দিন কাটানোর পর অবশেষে ১৭ বাংলাদেশি হোটেলে আশ্রয় পেলেন। ছবি: সংগৃহীত

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে খোলা আকাশের নীচে চার দিন কাটানোর পর অবশেষে ১৭ বাংলাদেশিকে একটি হোটেলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

ভিয়েতনামের যে সংস্থা তাদের ভুং তাও শহরে কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা স্পন্সর করেছে, তারাই তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেন, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র দপ্তর, পুলিশ ও নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে আমাদের ‘ব্যাপক আলোচনার’ ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।

গত চার দিন আগে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি নিয়ে ভিয়েতনামের ভুং তাও থেকে এক হাজার ৬৭৭ কিলোমিটার দূরের হ্যানয়ে বাংলাদেশি দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেন এই ১৭ অভিবাসী বাংলাদেশি।

অভিবাসীদের একজন ফরিদুল ইসলাম জানান, পিএইচএক্স নামের ভিয়েতনামের এক সংস্থা এ বছর জানুয়ারির প্রথম দিকে তাদের নিয়োগের কথা জানায়। কিন্তু, সেখানে কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ ছিল না।

পিএইচএক্স’র মালিকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনামে কর্মরত বাংলাদেশি দালাল আতিক ও সাইফুল প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্যবহার করে তাদেরকে নিয়ে এসেছিল। তারা চাকরি দিতে পারেনি। সে কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেছেন, তার করার কিছু নেই।’

ফরিদুল আরও বলেন, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যমকে এসব বিষয় জানানোর কারণে আতিক ও সাইফুল তাদেরকে ভয়ংকর পরিণতি হবে বলে হুমকি দিয়েছে।’

এরপর, ওই ১৭ অভিবাসী দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা চাইতে হ্যানয় আসেন বলে জানান ফরিদুল।

গত ৩ জুলাই দূতাবাস ১১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠায়। সেসময় পর্যন্ত আরও ৪৫ জন বাংলাদেশি হ্যানয় যান এবং ভিয়েতনাম পুলিশের সহযোগিতায় দূতাবাস তাদের থাকার ব্যবস্থা করে।

ফরিদুল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, পুলিশ ও পিএইচএক্সের মালিকের সামনে ভুং তাওতে আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম তা বলেছি। মালিক এসবের জবাব দিতে পারেননি এবং অবশেষে আমাদের দেশে ফেরা পর্যন্ত থাকার ব্যবস্থা করতে রাজি হন।’

Comments

The Daily Star  | English

ICT to begin trial for July-August 'massacre' on Thursday

ICT Chief Prosecutor says the trial of individuals involved in crimes against humanity during the uprising would be prioritised

43m ago