ইন্টারনেট বিলের ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে ৪৪ নাগরিকের বিবৃতি

প্রতীকী ছবি

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেট বিলের ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়েছে।

'গণস্বাক্ষরতা অভিযান' এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বিবৃতিদাতাদের পক্ষে এতে সই করেন। বিশিষ্টজনেরা হলেন-অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মামুনুর রশীদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, সাবেক সচিব মো নজরুল ইসলাম খান, এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মজিদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব) সাখাওয়াত হোসেন, ব্র্যাক এর নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, টিচ ফর বাংলাদেশ এর নির্বাহী প্রধান মায়মুনা আহমেদ, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সাইখ সিরাজ প্রমুখ।

চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে উল্লেখ করে গণমাধ্যমে দেওয়া এ বিবৃতিতে বলা হয়, 'কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং নতুন প্রজন্মের মেধা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকল্প নেই। ঠিক এ সময় সরকার কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি, বিশেষ করে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত কর/ভ্যাটের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।'

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ইন্টারনেটের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। বাজেটে ব্যান্ডউইডথ পাইকারি কেনা ও খুচরা বিক্রির জন্য দুই ধাপে ১৫% হারে ভ্যাট আরোপ করার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩২.২৫% অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংগঠনগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যে সব শিক্ষার্থী আগে গড়ে ১,০০০ টাকা মাসিক ইন্টারনেট বিল দিতেন, একই সেবা নেওয়ার জন্য এখন তাদেরকে ১,৩০০-১,৪০০ টাকা ব্যয় করতে হবে।

কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ট্যাবলেট ও স্মার্টফোন সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজন উল্লেখ করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, পেশাগত উন্নয়ন ও শিক্ষা কার্যক্রম মনিটরিং করতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ম্যাসিভ অনলাইন ওপেন কোর্স (এমওওসি) চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।

তাদের দাবি, ইন্টারনেট বিলের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত ভ্যাট মওকুফ করে এবং মোবাইল ফোনের কল রেটের ওপর মূল্য ছাড় দিয়ে সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেবে।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

17h ago