ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের টিউশন ফি ৩ বছর না বাড়ানোর দাবি অভিভাবকদের

চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে আগামী তিন বছর টিউশন ও সেশন ফি না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবকদের একটি অংশ।
ছবি: সংগৃহীত

চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আগামী তিন বছর টিউশন ও সেশন ফি না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবকদের একটি অংশ।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অভিভাবকদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইংলিশ স্কুল প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে অভিভাবকেরা এ দাবি জানান। এই ধারার স্কুলগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনেরও দাবি জানান তারা।

সংগঠনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ইংলিশ মিডিয়াম এডুকেশন: কোভিড-১৯ এর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

অভিভাবকরা বলেন, টিউশন ফি দেরি করে কিংবা না দেওয়ার কারণে কোনও শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা উচিৎ হবে না।

সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মাসুদ এ খান বলেন, একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে, কেবল ধনী পরিবারের সন্তানেরাই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি হয়, যা সত্য নয়। তিনি দেশের সব ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলকে তাদের যৌক্তিক এ দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সহ-আহ্বায়ক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম অভিভাবকদের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও একজন নারী অভিভাবক প্রতিনিধির সমন্বয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠনসহ ১৪ দফা দাবি পেশ করেন।

তারা জানান, বর্ণবাদ, হয়রানি, গালমন্দ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সব বিদ্যালয়ে শিশু সুরক্ষার নীতি থাকতে হবে। সব স্কুলগুলোর একই গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণ করা উচিত এবং স্কুলের পরিবেশ, আর্থিক নিরীক্ষার বিবৃতি, ভর্তি ও টিউশন ফি এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য সম্বলিত ওয়েবসাইট থাকা উচিত।

অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের কয়েকজন জানিয়েছেন যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে টিউশন ফি না দিতে পারায়, অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনায় বাধার সৃষ্টি করছে। বিষয়টি অভিভাবকদের জন্য যেমন অপমানজনক, তেমন শিক্ষার্থীদের ওপর এটা এক প্রকার মানসিক চাপ।

তারা বলেন, বিশ্ব নাগরিক করার লক্ষ্যে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বাচ্চাদের পাঠানো হয়। তবে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক বিদ্যালয়েই শিক্ষাদানের অবস্থা খুবই নিম্নমানের।

প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এর উপদেষ্টা এবং ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. হাবিবে মিল্লাত বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অভাবে এই স্কুলগুলোকে দেখাশোনা খুব কঠিন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago