ইতালিয়ান সিরি আতে জুভেন্টাসের টানা নবম শিরোপা
![juventus juventus](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/000_1vt7ow.jpg?itok=t1aVMbIX×tamp=1595800056)
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লক্ষ্যভেদ করলেন আক্রমণভাগের কাণ্ডারি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে ব্যবধান বাড়ালেন ফেদেরিকো বার্নারদেস্কি। সাম্পদোরিয়াকে হারিয়ে অপেক্ষার অবসান ঘটাল জুভেন্টাস। ইতালিয়ান সিরি আতে টানা নবম শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতোয়ারা হলো মাউরিজিও সারির দল।
রবিবার রাতে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে জিতে ২০১৯-২০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তুরিনের বুড়িরা। আসরের প্রায় পুরোটা সময় শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও শেষদিকে এসে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিল জুভরা। লিগের আগের পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছিল তারা। তাই শিরোপা ঘরে তোলার প্রতীক্ষার প্রহর ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছিল। তবে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে এ ম্যাচে আর কোনো ভুল করেনি ইতালির সফলতম দলটি।
প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের খেলায় ছিল না চেনা ছন্দ। সাম্পদোরিয়া কয়েকবার ভীতি ছড়ায় তাদের রক্ষণে। তার উপর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন দানিলো ও পাওলো দিবালা। তবে লিগে রোনালদোর ৩১তম গোলে বিরতির আগে ঠিকই এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। ডি-বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পেলেও মিরালেম পিয়ানিচ সরাসরি গোলমুখে শট না নিয়ে বল বাড়ান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে। কাজে লাগে কৌশলটি। ডান পায়ের জোরালো নিচু শটে জাল কাঁপান সিআর সেভেন।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় জুভেন্টাস। সেই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেন বার্নারদেস্কি। রোনালদোর শট সাম্পদোরিয়া গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেওয়ার পর ফিরতি শটে নিশানা ভেদ করেন এই ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। ৭৭তম মিনিটে পিয়ানিচকে ফাউল করে মর্টেন থোর্সবি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে অতিথিরা পরিণত হয় দশ জনের দলে।
ব্যবধান বাড়ানোর আরও সুযোগ পেয়েছিল জুভরা। কিন্তু ৮৪তম মিনিটে স্পট-কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি রোনালদো। তার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এবারের সিরি আতে আগের ১২টি পেনাল্টির প্রতিটিতে গোল করা অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এবারই প্রথম ব্যর্থ হলেন।
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে জুভেন্টাসের অর্জন ৮৩ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ খেলে তাদের নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলান সংগ্রহ করেছে ৭৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ রোনালদো-সারিরা লিগের বাকি দুই ম্যাচে হেরে গেলেও ক্ষতি নেই।
Comments