সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে অন্য দেশগুলোকেও সঙ্গে রাখতে চায় ইন্দোনেশিয়া। দেশটির নীতি-নির্ধারকরা নিজ দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের পাশাপাশি অন্য দেশের উৎপাদনকারীদের সঙ্গে রেখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের আশা করছে।
Corona vaccine
প্রতীকী ছবি রয়টার্স

করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে অন্য দেশগুলোকেও সঙ্গে রাখতে চায় ইন্দোনেশিয়া। দেশটির নীতি-নির্ধারকরা নিজ দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের পাশাপাশি অন্য দেশের উৎপাদনকারীদের সঙ্গে রেখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের আশা করছে।

আজ সোমবার দ্য জাকার্তা পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্যাকসিন উন্নয়ন ও উৎপাদনে অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না নেমে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া।

গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি রাজধানী জাকার্তায় সাংবাদিকদের বলেন যে করোনা ভ্যাকসিন উন্নয়নে তার দেশ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশল নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদী কৌশলের মধ্যে রয়েছে— অন্য দেশ ও অংশীদারদের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমে ভ্যাকসিন উন্নয়নে কাজ করা। দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের মধ্যে রয়েছে, জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করে নিজ দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলা।’

এসব কৌশল বাস্তবায়নে কী করা হবে তাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘স্বল্পমেয়াদী কৌশল বাস্তবায়নে ইন্দোনেশিয়ার কূটনীতিকরা অন্যান্য দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী যেমন, চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক, দক্ষিণ কোরিয়ার জিনেক্সিন এবং বিল গেটস-সমর্থিত কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিপিআই) সঙ্গে কাজ করার সুযোগ খুঁজছে।’

ইন্দোনেশিয়া ভ্যাকসিনের জন্যে সবার সঙ্গে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার ওষুধ উৎপাদনকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা পিটি বায়োফার্মা ভ্যাকসিনের বিষয়ে সিনোভ্যাকের সঙ্গে কাজ করছে। এখন সিপিআইয়ের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

একই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কালবি ফার্মা ডিএনএ ভ্যাকসিনের জন্যে জিনেক্সিনের সঙ্গে কাজ করছে।

প্রতিবেদন মতে, ডিএনএ ভ্যাকসিন তুলনামূলকভাবে নতুন আবিষ্কার। এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শরীরে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা যায়। ডিএনএ ভ্যাকসিনের তুলনায় অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সহজ ও খরচও কম বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি মাসের শেষের দিকে পশ্চিম জাভার বানডাংয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্যে বায়োফার্মা ও সিনোভ্যাক সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

দেশটির পাদজাদজারান বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন এজেন্সির মাধ্যমে আয়োজিত এই ট্রায়ালে প্রায় ১৬ শ স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিবেন বলেও উল্লেখ প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফল আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইন্দোনেশিয়ার ফুড ও ড্রাগ মনিটরিং এজেন্সির (বিপিওএম) কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago